অনলাইন গেম থেকে মুক্তির পথ খুঁজুন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:০৫ এএম
কোভিড-১৯-এর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর আবার খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এখনো সন্তোষজনক নয়। এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, একদল শিক্ষার্থী স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেমস ফ্রি-ফায়ারে আসক্ত। এদের মধ্যে অনেকের বয়স ১৫-এর নিচে। তাদের এই গেমসটি খেলার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, ‘এটি তাদের অনেক ভালো লাগে তাই এই গেমসটি তারা খেলে।’ এদের মধ্যে অনেকে আবার টাকা দিয়ে ডায়মন্ড টপ-আপ করে, যা দ্বারা পরে তারা বিভিন্ন বান্ডেল ক্রয় করে থাকে। কয়েকজনের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘তাদের সন্তানরা ধীরে ধীরে অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে, পড়াশোনায় মন না দিয়ে তারা মোবাইলে অযথা সময় নষ্ট করছে, অনেকে আবার ঘুমের মধ্যে অদ্ভুত সব আচার-আচরণ করছে, তাদের সন্তান নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। এ সময় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এসব গেমস বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এসব গেমস বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হলেও কারিগরি বিভিন্ন জটিলতার জন্য তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। কিছু সিম কোম্পানি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ভিপিএনের অবাধ ব্যবহার তাদের এ পরিকল্পনা নষ্ট করে দেয়। এ বিষয়টি নিয়ে এখনই আমাদের ভাবা উচিত ও কর্তৃপক্ষের সুনজর দেয়া উচিত। শুধু কর্তৃপক্ষ নয়, সঙ্গে অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া জরুরি। কেননা আপনাদের সচেতনতা-ই পারে আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে। তাই আসুন আমরা শপথ করি, অনলাইন গেমস মুক্ত সমাজ গড়ি।
মো. আবু বক্কর সিদ্দিক
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।
[email protected]