×

অর্থনীতি

ই-কমার্স গ্রাহকদের বিষয়ে ভাবছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:০৫ পিএম

ই-কমার্স, ডেসটিনি, যুবকসহ সার্বিক বিষয়ে সরকার পজিটিভলি চেষ্টা করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কোনো ব্যবস্থা করা যাবে কিনা- সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ডেসটিনির সম্পদ আছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের সম্পদ কত ও দায় কত সেটা জেনে দেখবো কী করা যায়। অর্থ মন্ত্রণালয় রয়েছে, কোর্টের বিষয় আছে। আমরা ইতিবাচকভাবে দেখবো। তবে যাদের সম্পদই নেই, সেই টাকা কীভাবে দেবো, এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২১-ভার্চুয়াল সংস্করণ’নামে সপ্তাহব্যাপী অনলাইন মেলার আয়োজন উপলক্ষে করা এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন কথা আসে, তাদের যদি আরো ব্যবসা করতে দেয়া হতো। যুবক, ডেসটিনি ও পুরোনো সমস্যাসহ নতুন যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে অবশ্যই গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে, তারা যেন দুই টাকার পণ্য এক টাকা দিয়ে কিনতে লোভ না করে। এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর পরামর্শ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সরকারের অনেক প্রচার-প্রচারণায় ইভ্যালির অংশগ্রহণ ছিল, এটা দেখে গ্রাহক আকৃষ্ট হয়েছে, এ দায় সরকার নেবে কি না প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বড় প্লাটফর্ম করেছিল, সেখানে সরকারের প্রচারণা ছিল। মামলার আগ পর্যন্ত কাউকে দোষী করা যায় না। এখন থেকে তাদের সঙ্গে কোনো কিছু হবে না। সরকারি নিয়ম মেনেই চলবে।

এখনও অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে বিভিন্ন অফার দিয়ে ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৮ থেকে ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে এমন অভিযোগ। দেশে ছোট, মাঝারি, বড়, ৩০ হাজার ই-কমার্স রয়েছে। এই ৮-১০টি কোম্পানির জন্য পুরো খাত ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এখন একটা শিক্ষা হয়েছে, নতুন আইন হয়েছে। ফান্ড তারা নিতে পারবে না। কোনো কিছু কেনার জন্য এখন ফান্ড এক জায়গায় জমা থাকবে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর এই ফান্ড ডিজবার্স হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে। এখন অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তাদের যদি ব্যবসা করতে দিয়ে কঠিনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হতো, তাহলে কিছুটা ক্ষতি কাভার করতে পারতো। এ ধরনের সাজেশন আসছে। এ বিষয়গুলো কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

প্রতারণার অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মালিকরা জেলখানায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কী হবে জানতে চাইলে জেলখানায় নেয়া সমাধান নয় জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সার্বিক বিষয়গুলো অবজারভেশন করছি। আমরাসহ চার মন্ত্রণালয় (অর্থ, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হচ্ছে, কোনো উন্নতি করা যায় কিনা- সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে। আজ এ বিষয়ে চার মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করবো। ই-কমার্স ডেসটিনিসহ পুরোনো সমস্যা ও নতুন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। কিভাবে এটা সমাধান করা যায়।

ভার্চুয়াল মেলার আয়োজন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২১-ভার্চুয়াল সংস্করণ’ নামের অনলাইন এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ৭ দিনব্যাপী এ মেলা আগামী ১৮ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App