৪৬০ কোটির মালিক সেই কম্পিউটার অপারেটর কারাগারে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:২৯ পিএম
টেকনাফ বন্দরে ১৩০ টাকা দিন মজুরিতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া নুরুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান এ আদেশ দেন।
এরআগে এদিন তাকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরআগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় একদিন ও ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রাসহ নুরুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ জাল টাকা, তিন লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমারের মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ও নগদ দুই লাখ এক হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় র্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া র্যাব জানায়, ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে চুক্তিভিত্তিক দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন নুরুল ইসলাম (৪১)। এ চাকরির সুবাদে স্থানীয় সিন্ডিকেট করে দালালি, পণ্য খালাস, বৈধ পণ্যের আড়ালে অবৈধ মালামাল এনে অল্প সময়ের মধ্যে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। ঢাকায় তার ছয়টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট রয়েছে। এছাড়া সাভার, টেকনাফ, সেইন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে মোট ৩৭টি প্লট, বাগানবাড়ি, বাড়ি, চারটি রিক্সার গ্যারেজ, ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা রয়েছে। অবৈধভাবে তার অর্জিত সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা।