×

সারাদেশ

কুলাউড়ায় ব্রিকস ফিল্ডের স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৩৮ পিএম

কুলাউড়ায় ব্রিকস ফিল্ডের স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এম.এন.এইচ ব্রিকস ফিল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী নজিবুর রহমান (মোহাম্মদ আলী) ও ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্বল্প মূল্যে ইট দেওয়ার নামে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের এম.এন.এইচ ব্রিকস ফিল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী নজিবুর রহমান (মোহাম্মদ আলী) ও ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের পক্ষে বক্তব্য দেন- কয়ছর রশীদ, মুহিবুর রহমান জাহাঙ্গীর, আজাদ আলী, আবুল কাসেম উসমানী, রুবেল আহমদ ও জালাল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে অর্ধশত ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরও জানান, গত ১০ বছর ধরে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের এম.এন.এইচ ব্রিকস ফিল্ডের মালিক নজিবুর রহমান (মোহাম্মদ আলী) ও ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধন স্বল্প মূল্যে ইট দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধাপে কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১৩৫ জন মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা সংগ্রহ করেন। ভুক্তভোগী কয়ছর রশীদ ও জসীম উদ্দিন বলেন- ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিভিন্ন ধাপে নজিবুর রহমান ও মানিক বর্ধন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এক কোটি ১৬ লাখ টাকা নেন। বিনিময়ে ইট বিক্রির মৌসুমে বাজার মূল্যের তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা কমে আমাদের কাছে ইট বিক্রি করার শর্তে রশীদ দেওয়া হলেও ইট দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নজিবুর রহমানকে জানালে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভুক্তভোগী চুনু মিয়ার কাছ থেকে ৪১ লাখ, মুহিবুর রহমান জাহাঙ্গীর ৩ লাখ ৫০ হাজার, আব্দুস সালাম ৭ লাখ, ইউসুফ আলী ৩০ লাখ, আবুল কাশেম ওসমানী ১ লাখ ৫০ হাজার, সমোজ মিয়া ১ লাখ ৯২ হাজার, তজম্মল আলী ১ লাখ ২৬ হাজার, আজাদ আলী ১ লাখ ৬০ হাজার, মসুদ আহমদ ৩ লাখ ৫০ হাজার, রুবেল আহমদ ৯ লাখ, গিয়াস আহমদ ৪ লাখ ৫০ হাজার, ওসমান আলী ৩ লাখ, মুশিউর রহমান ২ লাখ, হাজির মিয়া ৩ লাখ, আব্দুল মজিদ ৩ লাখ, নাজমা বেগম ১ লাখ, খুশবা বেগম ৩ লাখ, মিছবা বেগম ৩ লাখ ৭০ হাজার, লোকমান মিয়া ৬ লাখ ৬০ হাজার, মতিন মিয়া ৫ লাখ, পায়েল মিয়া ১ লাখ টাকাসহ আরো শত শত লোকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিনিময়ে সবাইকে ভাটার ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধনের স্বাক্ষরিত একটি রশিদও দেওয়া হয়। অভিযুক্ত মানিক বর্ধনের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। নজিবুর রহমান মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে বলেন- বর্তমানে ইটভাটার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ২০১৬ সালে ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধনের কাছে লিজ দিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মালিক আমি একা নই, আলী হায়দর ও নোমান নামে আরো দু’জন রয়েছেন। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, ভাটার ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধন সবকিছু জানেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App