×

সারাদেশ

বাগান মালিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ইউএনও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪২ এএম

বাগান মালিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ইউএনও

বাগান মালিকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ক্ষেতলাল উপজেলার বিদায়ী ইউএনও এ এফ এম আবু সুফিয়ান। ছবি: ভোরের কাগজ

বাগান মালিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ইউএনও
বাগান মালিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ইউএনও

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দম্পতি। ছবি: ভোরের কাগজ

পেশায় একজন বাগানমালি। কাজ করেন ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে। সেই বাগান মালি মানিক চন্দ্র (৫৫) কে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন ক্ষেতলাল উপজেলার বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এ এফ এম আবু সুফিয়ান। এমন দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলেন শেষ বিদায় লগ্নে উপস্থিত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সেই দৃশ্যটির ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয় এবং অশ্রুশিক্ত হন অনেকেই ।

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায় এ এফ এম আবু সুফিয়ান প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে গত বছর ২২জুন যোগদান করেন । স্কলারশিপ পেয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনে ইংল্যান্ড গমন করবেন সস্ত্রীক। এজন্য ১ বছর ২ মাস ২৫ দিন দায়িত্ব পালন শেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি।

শক্রবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল উপজেলা পরিষদের পক্ষে বর্ণাঢ্য বিদায়ী সংবর্ধনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয় ইউএনও এ এফ এম আবু সুফিয়ানকে। তাঁর সহধর্মিণী আয়েশা আক্তার জয়পুরহাট সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

[caption id="attachment_308147" align="aligncenter" width="700"] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দম্পতি। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় সরকারি বাসভবন ছেড়ে যাচ্ছিলেন। এমন বিদায় লগ্নে উপস্থিত ছিলেন, বাগান মালি, আনসার সদস্য, গাড়ীচালকসহ উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সাধারণ জনগণ।

তিনি গাড়ীতে ওঠার আগ মূহুর্তে উপস্থিত বাসভবনের বাগানমালি মানিক চন্দ্র ( ৫৬) কে বুকে জড়িয়ে ধরে উপস্থিত সকলের সামনে কেঁদে ফেলেন তিনি। কেঁদে ফেলেন গাড়ী চালক হেলাল, স্বপন এবং মোস্তফা। বিগত ২০ বছরেও এমন ইউএনও দেখেনি উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। অভিব্যক্তি প্রকাশ অনেকেরই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি আব্দুল মজিদ মোল্লা বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন ইউএনও দুই একজন দেখেছি। তবে তিনিই সর্বসেরা। আমি তাঁর ব্যবহার ও কর্মগুণে মুগ্ধ হয়েছি।

অভিব্যক্তি প্রকাশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, আমি অনেক ইউএনও দেখেছি তবে এমন ইউএনও আগে দেখিনি। শুধু কাজে নয় ব্যবহারেও মুগ্ধ আমিসহ আমার উপজেলায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আমার বিশ্বাস তিনি এই ব্যবহার ও কর্মগুণেই একদিন প্রজাতন্ত্রের অনেক বড় কর্মচারী হবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App