×

সারাদেশ

ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫৭ পিএম

ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম। তবে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে কাক্ষিত সেবা থেকে।

এ উপজেলার প্রায় ২ লাখ লোকের চিকিৎসা ভরসাস্থল এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এরপর আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে নজর দেয়নি বিগত কোন সরকার।

এতে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি সেবা দিতে ব্যাহত হয়। জনগণের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ৫০ শ্যাযায় উন্নীত করা হলেও ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালাতে যে লোকবলের প্রয়োজন হয় তা দেয়া হয়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। জানা গেছে, ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি চালাতে যে জনবল প্রয়োজন, বতর্মানে তাও নেই।

নিয়মানুযায়ী, ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে ১৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু আছে ৭ জন। তার মধ্যে প্রেষণে রয়েছেন ৩ জন। চার জন চিকিৎসক দিয়ে কোন রকমে চালানো হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। সেবিকা ১৫ জনের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। ১ জন রয়েছেন প্রেষণে। উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৯ জন। আছে ৫ জন। মেডিক্যাল টেকনোলোজি ২টি পদের মধ্যে আছে ১ জন। অফিস সহকারী ৩ জনের মধ্যে আছে ১ জন।

ক্যাশিয়ারের ২টি পদই শূন্য। নেই নৈশ প্রহরী। এমএলএসএস পদে ৮ জনের মধ্যে আছে ৪ জন। বাবুর্চি ২ জনের মধ্যে আছে ১ জন। ঝাড়ুদার ৫ জনের স্থলে আছে ২ জন। প্রশাসনিক কর্মকর্তার গাড়ি নেই আছে ড্রাইভার। অ্যাম্বুলেন্স আছে নেই ড্রাইভার। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন চিকিৎসা লাভের আশায় শতশত রোগী ভিড় করে। কিন্ত অনেক সময় ওষুধপত্র তো দূরের কথা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও জুটে না রোগীদের ভাগ্যে। বেশিরভাগ সময় উপ- সহকারীদের উপর নির্ভর করতে হয় রোগীদের। এক্সরে ও ইসিজি মেশিন বিকল। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লাইনে দাঁড় করে রেখে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আড্ডা দেন চিকিৎসকরা। আবার কোন কোন চিকিৎসক বাইরের ক্লিনিকগুলোতে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চিকিৎসক, কর্মচারী সংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বিষয়গুলো অবহিত করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুতই জনবল সংকটের বিষয়টি সমাধান হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App