×

স্বাস্থ্য

শিশুদেরও করোনা টিকার আওতায় আনা হবে: স্বাস্থ্যের ডিজি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম

দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা দান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত এক দিন নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে ‘স্পট রেজিস্ট্রেশন’-এর সুবিধার আওতায় আনা হবে। আর সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে শিশুদের টিকার আওতায়র আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষে সরকার টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণের কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সময়মত টিকা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা মজুদ আছে। সামনের দিন গুলোতে আমরা প্রয়োজনীয় টিকা পাবার উৎসটাকে নিশ্চিত করেছি।

এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে ১ কোটি টিকা দেয়া সহ প্রতিমাসে প্রায় ২ কোটি টিকা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে টিকা দান কর্মসূচিকে আরো কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি। ইতোমধ্যেই স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে। আমরা যে স্থানগুলোকে টিকা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতাম বিশেষত স্কুল সেখানে অনেক বেশি জায়গা ছিলো। অনেক বেশি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হতো। সে জায়গাগুলো থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হলো। এই অবস্থায় আমরা এখন চিন্তা করছি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটরিয়ামে কিংবা বড় কোন হল রুমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করবো।

ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত টিকা দান পাশাপাশি স্বাস্থ্যসহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন সাব সেন্টার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টিকা দেবো। নিয়মিত টিকা দান থাকবে না এমন দুই দিন প্রতি সপ্তাহে কোভিড-১৯ এর টিকা দিয়ে যাবো। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা কোভিড-১৯ টিকা দান কেন্দ্র হিসেবে ইউনিয়ন প্রতি একটি ইউনিয়ন সাব সেন্টার, ইউনয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করবেন এবং এ বিষয়ে প্রচারণা করবেন। টিকা প্রত্যাশিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবন্ধন করবেন। এবং এসএমএস পাবার সাপেক্ষে স্ব-স্ব নির্বাচিত টিকা কেন্দ্রে যাবেন।

বয়স্ক বিশেষত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যে পর্যালোচনা তাতে দেখেছি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। এটা মাথায় রেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা চেষ্টা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে মাথায় রেখে কীভাবে দ্র্রুত সময়ের মধ্যে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যায়। স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। তাই এই কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা করতে চাই। সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা এই কার্যক্রম করবো।

প্রসাসী শ্রমিকদের টিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিক।প্রবাসী শ্রমিকদের টিকাদান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রবাসী শ্রমিক, বিদেশগামী শিক্ষার্থীসহ যাদের সুনির্দি টিকা ছাড়া বিদেশ যাওয়া সম্ভব নয় সেই কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রেখেছি।

বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর টেস্টের জন্য ল্যাব স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে যে সভাটি হয়েছিলো সেই সভায় আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য বলা হয়েছিলো। আমাদের বলা হয়েছিলো যারা আবেদন করবেন তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের কাগজপত্র, সক্ষমতা ইত্যাদি যাচাই বাছাই করে আমরা যেনো কিছু সংখ্যক ল্যাবরেটরীকে অনুমোদন দেই। সেই লক্ষ্যে আমরা তাদের সব কিছু যাচাই বাছাই করে কিছু ল্যাবরেটরীকে অনুমোদন দিয়েছিলাম। আমাদের ওখানে দু’টি বড় প্যারামিটার ছিলো কে দ্রুত সময়ে এবং কম দামের মধ্যে করবে। যেহেতু প্রবাসী শ্রমিকরা যাবেন তাই তাদের উপর অতিরিক্ত অর্থের চাপ না পড়ে সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই দেয়া হয়েছে।

আমরা এসব বিষয় যাচাই বাছাই করেই আমরা অনুমোদন দিয়েছিলাম। আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে ছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিলো কারিগরি সহযোগিতা করা এবং একটি কমিটি গঠন করে দেয়া যে কমিটি পরবর্তীতে যারা যেসব ল্যাবরেটরি কাজ করবেন তাদের কাজ মনিটরিং করা। মান যাচাই করা। এই চিন্তা করেই কমিটি করে দেয়া হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তারা আমাদের নির্বাচিত ল্যাবগুলো কিংবা অপেক্ষমান ল্যাবগুলো থেকেও নিতে পারেন। সম্পূর্ণ তাদের ইখতিয়ার। আমাদের অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নতুন করে করার কিছু নেই। এই ব্যাপারে আমাদের বিভিন্ন সময় দোষারোপ করা হচ্ছে এ ব্যাপরে আমাদের ভূমিকা ততটাই যতটা আমাদের বলা হয়েছে। এর বেশি বা কম কাজ আমরা করি নাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App