ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকমের কাছে পাওনা ২০০ কোটি টাকা ফেরত চেয়েছেন পণ্য সরবরাহকারীরা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। ধামাকা শপিং ডটকম সেলার এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ইমন বলেন, ধামাকার চেয়ারম্যান এভারকেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও জয়েন্ট কেয়ার কো-অর্ডিনেটর ডা. এম আলী (মোজতবা আলী) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চিশতী। আমরা তাদের ওপর আস্থা রেখে ধামাকার মার্চেন্ট হিসেবে প্রায় ৬৫০ জন উদ্যোক্তা ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চুক্তি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করছিলাম।

তিনি বলেন, ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে পণ্য সরবরাহের জন্য সেলারদের সঙ্গে চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা ছিল, পণ্য সরবরাহের পর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাওনা অর্থ পরিশোধ করবে। দুঃখজনকভাবে ১৬০ কার্যদিবসে পার হয়ে গেলেও ধামাকা কর্তৃপক্ষ সেলারদের কোনো সহযোগিতা করছে না। সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল আলম বলেন, আত্মীয়স্বজন ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করে আজ নিঃস্ব হওয়ার পথে।

সংবাদ সম্মেলনে সেলাররা দাবি করেন, পাওনা অর্থ উদ্ধারে বারবার যোগাযোগ করেও মালিক পক্ষের কারো সঙ্গে সরাসরি কোনো সাক্ষাৎ বা সমাধান পাইনি। তারা দাবি করেন, পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, আইসিটি সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একাধিকবার আবেদন করেও কোনো সমাধান পাননি। অধিকাংশ সেলার ধামাকা থেকে ব্যাংক চেক না পাওয়ায় জসিম উদ্দিন চিশতী ও কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি ও একাধিকবার ভার্চুয়ালি চেক দেয়ার আবেদন করার পরও চেক দেয়া হয়নি।

সংগঠনটির সহসভাপতি বাহারুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ধামাকা শপিংসহ ১০টি ই-কমার্সের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

তিনি বলেন, আশা করি, সরকার সেলারদের পাওনা অর্থ ফেরত ও গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।