তৃণমূলের কর্মীরা আ. লীগের প্রাণ, অতিথি পাখিদের ভোট নয়: তথ্যমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৫৭ পিএম
তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামী লীগের প্রাণ হিসেবে বর্ণনা করে রাজনীতির অতিথি পাখিদেরকে ভোট না দিয়ে জনগণের পাশে থাকা ত্যাগী নেতাদেরকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে শহরের সার্কিট হাউজে এ আহবান জানান তিনি।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে গণমানুষের দল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত হয়েছেন, অনেক নেতা ভুল করেছেন, অনেক নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছেন, কিন্তু কর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হয়নি, কর্মীরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিল, কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন আমাদের দলে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা আপোষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় তাদের আন্দোলনে জননেত্রী মুক্তি লাভ করেছিলেন এবং সেকারণে দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভোট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাইবে কিন্তু ত্যাগী নেতা ছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকায় কাউকে প্রয়োজন নাই।
তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের দু:সময়ে নেত্রীর পাশে, দলের পাশে ছিল তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদলের অতিথি পাখিরা এখানে ভোট চাইতে আসবে, যখন ভোট চাইতে আসবে তখন বলতে হবে আপনারা অতিথি পাখির মতো এতদিন পরে কেন! যারা জনগণের মাঝে আছে এবং থাকবে তাদেরকেই ভোট দিতে হবে এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার নেত্রীকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশ আজকে পরিবর্তন হয়ে গেছে, ১৩ বছর আগের ভিডিও যদি মিলিয়ে দেখেন তাহলে আজকে চেহারাগুলো অনেক সুন্দর। ১৩ আগে ছেঁড়া কাপড় পরা, খালি পায়ে মানুষ দেখা যেতো, এখন যায় না, কুঁড়েঘরও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই হয়েছে। দেশে যদি এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
পরে মন্ত্রী সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।