নৌখাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে দুর্ঘটনা তদন্ত, নকসা অনুমোদন ও মাস্টার-ড্রাইভারশিপ পরীক্ষার দায়িত্ব নৌ পরিবহন অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি)।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে শনিবার এক আলোচনা সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। এ সময় নৌযান শ্রমিকদের দ্রুত টিকার আওতায় আনাসহ ১৫ দফা সুপারিশও করা হয়।

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্রর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ সিকদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড এনভায়রণমেন্ট ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

সুপারিশে বলা হয়, নৌযানের ফিটনেস যথাযথভাবে পরীক্ষার জন্য শূন্যপদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে ‘শিপ সার্ভেয়ার’ সংকট নিরসন ও বার্ষিক সার্ভে প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। কোন শিপ সার্ভেয়ার মাসে কতোগুলো নৌযান নিবন্ধন ও সার্ভে করছেন- সে তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। দক্ষ নৌযানচালক তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ‘অভ্যন্তরীণ মাস্টারশিপ-ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ড’ গঠন করতে হবে। অধিদপ্তর থেকে সমুদ্রগামী নাবিকদের সার্টিফিকেট অব প্রফিসিয়েন্সি (সিওপি), অভ্যন্তরীণ নৌযানচালকদের সনদ নবায়নসহ অন্যান্য সেবা ও নৌযান মালিকদের নিবন্ধন-বার্ষিক ফিটনেস সনদ পেতে অহেতুক কালক্ষেপন, অর্থব্যয় ও হয়রানি বন্ধ করকে হবে।

অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী বলেন, বিরাজমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করে জিসিবি যেসব সুপারিশ উত্থাপন করেছে, নৌখাতের উন্নয়নের জন্য সেগুলো বাস্তবসম্মত। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে হলে নদ-নদী রক্ষা ও নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।