কক্সবাজার সৈকতে ৩ তরুণের মৃত্যু, পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১০ পিএম
দুই ঘণ্টার ব্যবধানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে তিন তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন, কীভাবে এই দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে, তাৎক্ষণিক তা জানাতে পারেনি পুলিশ। একদিনে এই তিন মৃত্যুর ঘটনায় পর্যটকসহ স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্ট থেকে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেন লাইফগার্ড কর্মীরা। এর দুই ঘণ্টা পর একই স্থানে ভেসে আসে আরও এক তরুণের মরদেহ। উদ্ধার কর্মীরা ওই তরুণকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুই ঘণ্টার মধ্যে দুই তরুণের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
সৈকতের উদ্ধারকর্মী মাহবুব আলম বলেন, শুক্রবার দুই দফায় সৈকতের সি-গাল পয়েন্ট থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাগরের পানিতে ভেসে এসেছে এ দুইজনের মরদেহ। বিকেল ৩টার দিকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাক ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। উদ্ধারকর্মীরা তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাহবুব আলম বলেন, এর দুই ঘণ্টা আগে দুপুর ১টার দিকে সৈকতের একই স্থানে আরও এক তরুণের মরদেহ ভেসে আসে। তার আনুমানিক বয়স ১৮ বছর। উদ্ধারকর্মীরা মরদেহটি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে কলাতলী এলাকায় বে ওয়ান ডাচ হোটেল থেকে রাফসানুল হক (৩২) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হোটেল রেজিস্ট্রারে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার এলাকায়। তার বাবার নাম সৈয়দুল হক। কী কারণে এ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, দুপুর ১টার দিকে সৈকতে যে তরুণের মরদেহ ভেসে এসেছে, তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো. ইমন (১৮)। তিনি কক্সবাজার শহরের কলাতলী চন্দ্রিমা মাঠ এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।