×

মুক্তচিন্তা

মাস্ক কোথায়?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:০৪ এএম

মাস্ক কোথায়?
গবেষকরা বলছেন, লকডাউনের কারণে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমেছে। লকডাউনের সময় জনগণকে সচেতন করতে মাঠে-ঘাটে, হাট-বাজারে প্রতিনিয়ত সামরিক বাহিনী টহল দিত এবং মানুষকে সচেতন করত। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, লকডাউন শীতল করার পর কেউ আর দূরত্ব বজায় রাখে না বরং মাস্ক না পরেই রাস্তাঘাটে এলোমেলো ঘোরাফেরা করছে। লকডাউনের সময় মানুষ কোথাও গেলে সঙ্গে মাস্ক নিত। যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীরা যাতায়াত করত। কিন্তু এখন এসবের কিছুই দেখা যায় না। লকডাউন শীতল করা মানেই কি করোনা চলে যাওয়া? সাধারণ জনগণের চলাফেরা দেখে তো এমনটাই বোঝা যাচ্ছে। লকডাউনের সময় মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলত। লকডাউন নেই সেই সঙ্গে কারো মুখে মাস্কও নেই। সত্যিকার অর্থে, লকডাউনের কারণে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলত এটা বড় কথা নয়। মূলত লকডাউনের ফলে দূরপাল্লার মানুষ যাতায়াত করতে পারত না। আর লকডাউনের বিশেষত হচ্ছে যে, লকডাউনের সময় মানুষ যখন দেখত রাস্তাঘাটে সেনা বা পুলিশের বিশেষ নজরদারি আছে তখন ভয়ে মুখে মাস্ক লাগাত। কিন্তু কোনো স্থানেই মানুষ এখন মাস্ক ব্যবহার করে না। অনেকে তো মনে করে লকডাউন নেই করোনাও নেই। মাস্ক পরার বিষয়ে আমাদের সচেতন করতে হবে। এর উপকারিতা সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। গবেষণায় আরো জানায়, মাস্ক পরলে আক্রান্ত না হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। মাস্ক শুধু ভাইরাসের জন্য নয়। ধুলোবালি ও দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে হলে মাস্ক অতি জরুরি। ইবনে সিনা বলেছেন, মানুষের ফুসফুসে যদি ধুলোবালি প্রবেশ না করত তাহলে মানুষ হাজার বছর বেঁচে থাকত। তাই স্বাভাবিক জীবনেও মাস্কের গুরুত্ব অপরিসীম। মাস্ক পরা মানে শুধু নিজেকে বাঁচানো না। অপরকেও বাঁচানো। তাই ধরে নিতে পারি মাস্ক পরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই করোনা প্রতিরোধের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং পূর্বের মতো প্রশাসনের দৃষ্টি রাখতে হবে গ্রামগঞ্জে। আসাদ বিন সফিক শিক্ষার্থী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সুনামগঞ্জ। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App