×

অর্থনীতি

জিএসপি প্লাস সুবিধা ইইউ’র রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়: বাণিজ্য মন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:৩৪ পিএম

বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস (GSP+) দেওয়ার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন বিষয়ে ইইউ’র প্রশ্ন রয়েছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

জিএসপি প্লাস সুবিধার বিষয়ে এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জিএসপি প্লাস (GSP+) সুবিধা পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি বাজার সুবিধা পাচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তর ঘটলে বর্তমান জিএসপি আইন অনুযায়ী ৩ বছর ট্রানজিশন টাইম পাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৯ এর পর ইইউ’তে যাতে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখতে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী National Action Plan for the labour sector প্রণয়ন করে পাঠানো হয়েছে। জিএসপি প্লাস এর শর্ত পূরণে minimum age convention, 1973 (C138) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইইউ’র বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন বিষয়ক বিভিন্ন জিজ্ঞাসা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এসব জিজ্ঞাসার সন্তোষজনক জবাব দেয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে কী না সেটা তাদের রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া ভবিষ্যতে ইইউ নতুন করে জিএসপি রেগুলেশন প্রনয়ন করছে। ওই রেগুলেশনের আওতায় বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায় তার জন্য সরকার কাজ করছে।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সব চেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছয় হাজার ৯৭৪ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন মার্কি ডলারের পন্য রপ্তানি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে চীন থেকে ১১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App