×

জাতীয়

ই-কমার্সে প্রতারিতদের পাওনা সরকারকে দেওয়ার দাবি সংসদে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪৮ পিএম

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, সরকারের গাফেলতির কারণে ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মতো প্রতিষ্ঠান ব্যবসার নামে প্রতারণা করে হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। যারা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তাদের টাকা সরকারকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পরে সরকার ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সংসদের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে রুমিন ফারহানা এই দাবি জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

পয়েন্ট অব অর্ডারে রুমিন ফারহানা বলেন, 'ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ অনেক ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার সময়ই বোঝা গিয়েছিল তারা প্রতারণা করবে। তারা অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির অফার দিয়েছিল। প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করেছে। এখন হাজার কোটি টাকা নিয়ে তারা আর পণ্য দিচ্ছে না। শুধু মানুষকে দোষ দিলে হবে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গোপনে ব্যবসা করেনি। যে পরিমাণ বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা ব্যবসা করেছে তাতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এটি না জানার কথা নয়। তারা ক্রিকেট দলের স্পন্সরও হয়েছিল।'

তিনি বলেন, 'অন্য সবকিছু বাদ দিলেও প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ব্যবসা চলতে পারে না। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।'

পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টির সংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, 'অবৈধ ভিওআইপির ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কারণে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। মাসে ৩৭৫ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত টেলিটক এ বিষয়ে তিনি জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন।

পয়েন্ট অব অর্ডারে বিএনপি দলীয় সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, তিনি তিনটি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন। তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারদলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেছেন, পরীমণির প্রতি বিএনপির হারুনের এত আগ্রহ কেন। তিনি এই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান। সংসদের আগামী অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন বলেও তিনি আশা করেন।

বিএনপির আরেক সদস্য জিএম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়া তার নেত্রী। সংসদে তার নেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার মেগা প্রজেক্টে তিনি আনন্দিত হন। একইভাবে মেগা দুর্নীতি তাকে ব্যথিত করে। তিনি বলেন, গরীবদের জন্য করা ঘর ধসে পড়েছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এগুলো হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয়েছে। জিএম সিরাজ দাবি করেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন পরিচালক তাকে বলেছেন, এই বক্তব্যের পর দুদকের তদন্ত থেমে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App