×

জাতীয়

সীমানা পিলার স্থাপন ও উচ্ছেদে কিছু বিচ্যুতি ছিল: নৌ প্রতিমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:২৮ পিএম

নদীর সীমানা পিলার স্থাপন ও দখল উচ্ছেদ অভিযানে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে বলে স্বীকার করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি। ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে অনেক অভিযোগের সমাধানও করেছি। তিনি বলেন, আমরা নদীর প্রকৃত দখলদার উচ্ছেদ করব। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আবেদন করলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করব। মামলা মোকাদ্দমার কারণে ঢাকার চারপাশের নদ-নদী এখনো শতভাগ দখলমুক্ত হয়নি বলেও এ সময় জানান তিনি।

সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

নদী দখলকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব নিয়ম মানা দরকার, সেগুলো তারা মানেনি। এ জন্য তাদের জরিমানার আওতায় আসার কথা। আমরা সুযোগ দিয়েছি। এ সুযোগের যদি সঠিক মূল্যায়ন না করা হয়, তবে অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা কিছুটা সময় দিতে চাই। কারণ, এতে শিল্প মালিকদের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে কেউ কখনো ভাবেনি যে, নদীরও নিজস্ব জায়গা আছে। এ ভবনটা তৈরি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, দীর্ঘদিন রাষ্ট্র সেটা করেনি।

নদী দখলকারীরা ক্ষমতাশালী, এদের উচ্ছেদে কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ বলেন, নদী দখলকারী সবাই যে রাঘববোয়াল তা নয়। সাধারণ মানুষও আছেন। সাধারণ মানুষ জায়গা না থাকায় একটা ঘর বেঁধে ফেলে, সে তো জানে না যে এতে নদী দখলে হয়েছে। এক্ষেত্রে অসাবধানতাও কাজ করে। তিনি বলেন, আগে ছিল জোর যার মুলুক তার। সে অবস্থা এখন নেই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখলদার উচ্ছেদের কাজ পুরোপুরি বা শতভাগ সম্পন্ন করতে পারিনি। কিছু মামলা-মোকদ্দমা আছে। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইনজীবী প্যানেল কাজ করছে। আমরা বলতে পারি, এগুলোতে আমরা সফলতা দেখাতে পারবো।

দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অংশ ছিল। এরইমধ্যে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটারের মতো নতুন ও পুরনো নৌপথ তৈরি করতে পেরেছি। আমরা এর সুফল পেতে শুরু করেছি। এবার অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে পানি আসলেও তা বন্যায় রূপ নেয়নি। এর অন্যতম কারণ, নদীগুলোর ধারাবাহিক ড্রেজিং করা।

যমুনাকে ঘিরে হবে অর্থনৈতিক করিডোর: যমুনা নদীকে অর্থনৈতিক করিডোরে রূপ দেয়ার কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ সমীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে। সমীক্ষায় যদি সফলতা আসে, কাজটি যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তবে লাখ লাখ হেক্টর জমি শুধু সংগ্রহ করতেই পারবো না, যমুনার ভাঙনের একটি সমাধানও দিতে পারব। সংগ্রহ করা জমিতে স্যাটেলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক করিডোর-১ ও অর্থনৈতিক করিডোর-২ এ দুটি পর্যায়ে কাজটি হবে। তিস্তা নদী নিয়েও এমন একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া যমুনা সেতুর বিকল্প রুট হিসেবে টানেল তৈরির চিন্তাও করছে সরকার। তবে কর্ণফুলীর পর দেশে দ্বিতীয় টানেল হবে যমুনায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App