×

রাজধানী

সামাজিক আন্দোলনে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম

সামাজিক আন্দোলনে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

বুধবার সুস্থ্যতার জন্য সামাজিক আন্দোলন শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় মেয়র একথা বলেন। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সুস্থ্যতার জন্য সামাজিক আন্দোলনে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম বা খতিবগণ শুক্রবারের জুম্মার নামাজের খুতবায় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে আগত মুসল্লীদের উদ্দ্যেশ্যে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে সুস্থ্যতার জন্য সামাজিক আন্দোলন শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রুটো ইনডেক্স অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব তুলনামূলক বেশি।

জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ এর মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়ার সভাপতিত্বে বৃহত্তর মিরপুরের ৭টি থানার প্রায় ১ হাজার ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আগা খাঁন মিন্টু, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, মেয়র কিংবা কাউন্সিলর কারও একার পক্ষেই এডিস মশা এবং ডেঙ্গু মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ডেঙ্গুকে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর ও নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডেই জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

জনগণের প্রতি সামাজিক আন্দোলনে অংশ নেয়ার তাগিদ দিয়ে আতিক বলেন, লজ্জা পরিহার করে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে। তিনি বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস-আদালত কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, তাই ‘তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন’। এ  সামাজিক আন্দোলনের সুফল হিসেবেই ডিএনসিসি এলাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান মেয়র।

মেয়র বলেন, ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ তাই বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেককে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারী নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে যে কোন নাগরিক রাস্তা, মশক, সড়ক বাতি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি তার মতামত কিংবা অভিযোগ অতি সহজেই ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উক্ত সমস্যার সমাধানও পাচ্ছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App