×

সম্পাদকীয়

বিদেশগামী শ্রমিকদের এ দুর্ভোগ কেন? বিমানবন্দরে দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপন করুন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৫০ এএম

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে গড়িমসিতে প্রবাসীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। করোনায় শ্রমবাজার খুললেও বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব টেস্টের সুবিধা না থাকায় আটকা পড়েছেন প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিক। বিশেষ করে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে সময়ক্ষেপণের ফলে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। এমন অবস্থার দ্রুত সমাধান জরুরি। জানা যায়, আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের জন্য বিমানবন্দরেই করোনা পরীক্ষার শর্ত রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দুই-তিন দিন অথবা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব বসানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশের ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ল্যাব না বসানো দুঃখজনক। বেসরকারি একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা বৈশ্বিক মহামারির সময়ে দেশে ফেরত আসা অভিবাসী শ্রমিকদের ৮৭ শতাংশেরই এখন কোনো আয়ের উৎস নেই। ৫২ শতাংশ প্রবাসীর জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। ৭৪ শতাংশ প্রবাসী প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ভীতির মধ্যে রয়েছেন। ৩৪ শতাংশ প্রবাসীর সঞ্চয় বলতে এখন আর কিছু নেই। ১০ শতাংশ প্রবাসী ইতোমধ্যেই ঋণ গ্রহণ করেছেন। এ অবস্থায় যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তারা নানা হয়রানির মুখে পড়ছেন। করোনা পরীক্ষার গ্যাঁড়াকলে পড়ে প্রবাসীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অভিবাসন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, এমনকি পাকিস্তানের বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব অনেক আগেই তৈরি করে কর্মী পাঠানো শুরু করলেও শ্রমবাজার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সৌদি আরবের পরই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। সরকারকে এদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। গণমাধ্যমগুলোর খবরে উঠে আসছে, করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশগামীরা। দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সিডিউল পেতে। বাড়তি অর্থ না দিলেও মিলছে না করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল কিংবা সিডিউল। রিপোর্ট পেলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ৬ ঘণ্টার মধ্যে না পেলে বিমান কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য বিদেশি বিমান কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করছে না। এতে বিদেশ যাত্রীরা যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিমানবন্দরে যদি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়, তাহলে রিপোর্ট ৬ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে। সেটি নিয়ে বিদেশ যেতে কাউকে অসুবিধা ভোগ করতে হবে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে বিদেশগামীরা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিলম্ব হচ্ছে, সংকট বাড়ছে। চাকরি হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর দায় কোনোভাবে এড়াতে পারবে না। সব রকমের হয়রানি বন্ধ করে বিদেশগামী কর্মীদের সহজ ও নির্বিঘœ প্রবাস যাত্রা নিশ্চিত করা এ মুহূর্তে জরুরি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App