লোকজনের ভিড়ে নাস্তানাবুদ পরী মনি হাজতখানায়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৩৬ এএম
বুধবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে আসেন চিত্রনায়িকা পরী মনি।
রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এসে হাজিরা দিতে পারেন নি। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০:৪০ মিনিটে একটি কালো রঙের গাড়িতে করে তিনি আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।
এরপর লোকজনের ভিড়ে একেবারে নাস্তানাবুদ হতে হয় পরীমনিকে। পরে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে হাজিরার জন্য গেলে তার আইনজীবীরা না আসায় এজলাস ছেড়ে চলে আসেন।পরে পরীমনি কিছু সময় এজলাসের পাশে অবস্থান করেন। এসময় তাকে বার বার হাত দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আদালতের হাজতখানায় নেয়া হয়। এ হাজতখানায় গ্রেফতার আসামিদের রাখা হয়। দুপুর ১ টায় তিনি পুনরায় আদালতে হাজিরা দিতে আসবেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
এর আগে মাদক মামলায় গ্রেফতারের ২৬ দিন পর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত পরীমনিকে নারী, শারীরিক অসুস্থতা ও অভিনেত্রী এই তিনটি বিবেচনায় জামিনের আদেশ দেন। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার এ জামিন মঞ্জুর করা হয়। পরেরদিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর বাসায় প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে পরীমনিসহ তিনজনকে দেশি বিদেশি মদের বোলত ও এলএসডি মাদকসহ আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট পরীমনিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৬ আগস্ট তাকে তৃতীয় দফায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চান সিআইডি। এ আবেদনে ১৯ আগস্ট শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন না থাকায় পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সেদিন জামিন না চাওয়ায় পরীমনি তার আইনজীবীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরদিন ২২ আগস্ট তার জামিন চেয়ে আইনজীবীরা আবেদন করলে ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক। পরে তার আইনজীবীরা শুনানির দিন বিলম্বের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনলে ৩০ আগস্ট জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।