জাবি শিক্ষার্থীকে মারধরে ৪ আনসার সদস্য বহিষ্কার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:১৭ পিএম
মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীরা সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন এবং ১২টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: ভোরের কাগজ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের নুর নামে এক ছাত্রকে স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে ১২ টায় আশুলিয়া পুলিশ ও জাবি প্রক্টরের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন এবং ১২টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ‘সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আনসার সদস্যরা একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে গুরুতর আহত করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাসায় বসে তামাশা দেখছে। তারা একবারের জন্যও আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে যায়নি। তাদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্রবান্ধব হওয়া।’
এদিকে, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ৪ আনসার সদস্যকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন, ওমর ফারুক, সারোয়ার, রমজান ও নজরুল।
ঢাকা জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের কমান্ড্যান্ট আফজাল হোসেন বলেন, 'এই ৪ জন আনসার সদস্যকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তারা যাতে কোথাও কাজ না করতে পারেন, সেজন্য তাদের কালো তালিকায় রাখা হয়েছে।'
এইসময় সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন কুদ্দুস বয়াতি। তিনি বলেন, আনসার সদস্যরা যেভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ছাত্রটিকে মারলো অবশ্যই তাদের বিচার করতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আহত শিক্ষার্থী নূর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল বিকেলে দুই ভাগ্নেসহ স্মৃতিসৌধ ঘুরতে যাই। সেখানে অনেককে অর্থের বিনিময়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল আনসার সদস্যরা। আমি এটার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে রুমে নিয়ে আবদ্ধ করেন। পরে সাত-আটজন আনসার সদস্য আমার ঠোঁট, গলা ও তলপেটে মারাত্মক আঘাত করেন। এমনকি মাথায়ও আঘাত করা হয়।’