×

জাতীয়

মেট্রোরেলের মালামাল চুরি, গ্রেপ্তার ১১

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:১৯ পিএম

মেট্রোরেলের মালামাল চুরি, গ্রেপ্তার ১১

সোমবার রাজধানীর শাহআলী এলাকা থেকে দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা মেট্রোরেলসহ অন্যান্য সরকারী বড়-বড় প্রকল্পের মালামাল চুরির ঘটনায় ১১ জনকে গেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. মোতালেব শিকদার (৫৪), মো. নজরুল ইসলাম (৪৪), মো. হাবিব উল্লাহ ভুঁইয়া (৪৩), মো. ওয়ালীউল্লাহ ওরফে বাবু (৪১), সুমন ঘোষ (৪৩), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৮), মো. আ. ছাত্তার (৫৮), মো. আশিক (৩১), মো. আমজাদ হোসেন রাজন (৩৬), মো. মনির (৪০) ও মো. রিয়াজুল (২০)। রাজধানীর শাহআলী এলাকা থেকে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ টন ওজনের চোরাইকৃত ১৮ টি আইবীম, ১টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেটকার ও নগদ ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মেট্ররেলসহ অন্যান্য সরকারি বড়-বড় প্রকল্পে কর্মরত রয়েছে এমন কিছু কর্মীর সহায়তাতেই এ চুরির ঘটনাগুলো ঘটছে। প্রকল্পের আইবীম ছাড়াও অপ্রয়োজনীয় লোহা, ইস্পাত, তার, মেশিন কৌশলে চুরি করে চক্রটি। চুরিকৃত লোহার তৈরী এ মালামাল অনেক ভারী হওয়ায় তা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দ্রুত ছোট খণ্ড করে কেটে বিভিন্ন ভাঙ্গারী ও চাহিদাকারী ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে আসছিল চক্রটি।

অভিযানটির নেতৃত্ব দেয়া র‌্যাব-৪ এর মেজর কামরুল বলেন, বিশাল মেট্রোরেল প্রজেক্টের কাজে ব্যবহৃত মালামাল অনেক বড় ও ভারী হওয়ায় সেগুলো প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন জায়গায় স্তুপ করে রাখা হয়। আমাদের কাছে খবর ছিল ৭১ নাম্বার মেট্রোরেল পিলারের দিয়া বাড়ি অংশে অবস্থিত একটি জায়গা থেকে আইবিম, লোহা, ইস্পাত ও তা কাটার মেশিন কৌশলে চুরি হচ্ছে। তদন্তে আমরা জানতে মোতালেব নামে এক ব্যক্তি যিনি ৭১ নাম্বার মেট্রোরেল পিলারের দিয়া বাড়ি অংশে ডাম্পিং স্টেশনে ৪ বছর ধরে কর্মরত তার সহায়তায় চুরির ঘটনা ঘটছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে হাতে-নাতে তাদের গ্রেপ্তার করি আমরা।

তিনি আরো বলেন, এ চক্রটি কয়েকটি ধাপে চুরি কাজটি সম্পন্ন করে। প্রথমে ধাপে চক্রটি সু-কৌশলে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। পরে সেই অনুযায়ী চুরির পরিকল্পনা করে। দ্বিতীয় ধাপে প্রজেক্টের লোকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে আস্থায় নেয়। পরে তাদেরসহ নিজেদেরে লোকজনের সহায়তায় বিভিন্ন মালামাল সুবিধা বুঝে চুরি করে পছন্দ মতো গোপন একটি জায়গায় নিয়ে লুকিয়ে রাখে। তৃতীয় ধাপে চোরাইকৃত মাল পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে সহজে বহনযোগ্য করে। পরবর্তীতে উক্ত মালামাল কিনে থাকে এমন ক্রেতাদের সঙ্গে প্রথম ধাপের চোরাই দলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। শেষ ধাপে মূলত চোরাইকৃত মালামা কেনা- বেচার কাজটি সম্পন্ন করে। চোরাই চক্রটি নির্ধারিত ক্রেতাদের কাছেই বিক্রি করে থাকে।

এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পে কর্মরত রয়েছে এমন লোকদের সহায়তাই চুরি হচ্ছে। চোরাই চক্রসহ অন্যান্য চক্রের আরো অনেকর বিষয়ে তথ্য মিলেছে। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App