×

পুরনো খবর

ফোনালাপ ফাঁস উচিত নয় : হাইকোর্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৪ পিএম

ফোনে আড়ি পাতা এবং ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ফোনালাপ যখন মিডিয়ায় ফাঁস করা হয়, তখন ব্যক্তির গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হয়। সামাজিকভাবে ওই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হন।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে আদেশর জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। অন্যদিকে রিটের শুনানির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব।

আদালত বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলা দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ, আবার তৃতীয় পক্ষও ফোনালাপ ফাঁস করতে পারে। তবে এখানে কোন পক্ষের কী স্বার্থ আছে, তা জানি না। ফোনে আড়ি পাতা ঠিক নয়। ফোনালাপ মিডিয়ায় সগৌরবে প্রচার করাও উচিত নয়।

আদালত আরো বলেন, ফোনালাপ যখন মিডিয়ায় ফাঁস করা হয়, তখন ব্যক্তির গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হয়। সামাজিকভাবে ওই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে কারা ফোনালাপ ফাঁস করে, তা আমরা জানি না। তবে ফোনালাপ ফাঁস করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম, বিটিআরসিসহ সব পক্ষের সজাগ থাকা দরকার। এর আগে ফোনে আড়িপাতা প্রতিরোধে নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে গত ১০ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়।

রিট আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয়ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারসমূহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম। এছাড়াও ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০ (চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই ধরণের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App