×

জাতীয়

নির্বাচন ও আন্দোলনমুখী বৃহৎ পরিকল্পনা বিএনপির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:২৮ পিএম

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিমুখী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি। এ লক্ষ্যে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। ভোটের পাশাপাশি আন্দোলনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাদের মতামত নিতে চায় দলটি।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারাবাহিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিসহ সংশ্লিষ্টরা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে সশরীরে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে এ বৈঠক শুরু হবে। প্রথম বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যরা অংশ নেবেন। এরপর বুধবার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ও সহ-সম্পাদকদের নিয়ে বসবে বিএনপি। এছাড়া বৃহস্পতিবার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হবে। পর্যায়ক্রমে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও বিএনপির হাইকমান্ড বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে স্থায়ী সমাধান চাই। তবে এর আগে নিরপেক্ষ সরকার চাই যাদের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে এ সমাধান হতে হবে। এ জন্য দেশের গণতান্ত্রিক সব রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নিতে হবে। কাজটি এমনভাবে করতে হবে যা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়। বিগত দিনের মতো একতরফা হলে কেউ মেনে নেবে না।

দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ ব্যাপারে প্রতিটি জেলা, উপজেলা সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মতে, কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত আগেই নির্বাচনের কথা বলছেন, বিষয়টি ভাবনার বিষয়। এছাড়াও আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলতি বছরে প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। এটা নিয়ে বিএনপিকে ব্যস্ত করা হতে পারে।

এই অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয় ঠিক করতে হবে। সেজন্য দলের সবার মতামত নিতে হবে। স্থায়ী কমিটির নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের মতামতও নেয়া হবে। এ নিয়ে বিএনপি দলীয়ভাবে একটি প্রস্তাবনাও তুলে ধরবে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি সময় দিলে তার সঙ্গেও বৈঠক করতে চায় দলটি। সেখানেও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির দাবিগুলো পুস্তক আকারে তুলে ধরা হবে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে হোটেল লা মেরিডিয়ানে ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কারাবন্দি হওয়ার পর আর কোনো সভা ডাকা হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App