জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৫ শতাংশ বৃদ্ধি, সরকারি-বেসারকারি খাতের যৌথ সমন্বয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো, দক্ষ ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প প্রতিষ্ঠা, গবেষণার মাধ্যমে শিল্পখাতের দেশীয় প্রযুক্তির প্রসার, সিএমএসএমই খাতের দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়গুলো নতুন শিল্পনীতিতে প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ সময় তিনি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা গ্রহণের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদের উন্নয়ন, সম্ভাবনাময় খাতগুলোর পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি ভৌত অবকাঠমো সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ের উপর নতুন শিল্পনীতিতে গুরুত্ব প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, কোভিড মাহামারী মোকাবেলায় দেশের ব্যক্তিখাতের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সরকার বেশকিছু প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করছে, যার ফলে আমাদের অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার হয়েছে। দেশের সিএমএসএমই খাতে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, তাই এখাতের বিকাশে আর্থিক ও নীতিসহায়তা নিশ্চিতকরনের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত “প্রস্তাবিত জাতীয় শিল্পনীতি: ব্যক্তিখাতের প্রত্যাশা” শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ রবিবার আয়োজিত ওয়েবিনারে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার যথাক্রমে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান দেশের সিএমএসএমই খাতের যথাযথ উন্নয়নে বিদ্যমান সংজ্ঞার সংশোধনের আহŸান জানান, যার মাধ্যমে এখাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও নীতি সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি সহজতর হবে। শিল্পনীতি তৈরিতে ভিয়েতনামের গৃহীত শিল্পনীতির অনুসরণের পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং ই-কমার্স শিল্পের অগ্রযাত্রাকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন, বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এছাড়াও ডিসিসিআই সভাপতি, এলডিসি উত্তর সময়ে বিশেষকরে দেশের রপ্তানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানির সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রদানের উপর জোরারোপ করেন এবং এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের নেগোশিয়েশনের দক্ষতা উন্নয়নের প্রস্তাব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, দেশিয় শিল্পের সুরক্ষা, পণ্যের গুণগত মান সংরক্ষণ ও মেধাসম্পদ ব্যবস্থাপনা, এসএমই’র সঠিক সংজ্ঞায়ন, সারাদেশে শিল্পায়ন কার্যক্রমের সম্প্রসারণ, ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প পার্ক গড়ে তোলা, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনগত ও অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করারই জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এর মূল লক্ষ্য।