×

জাতীয়

উত্তরায় স্কুলের ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৩১ পিএম

রাজধানীর উত্তরার স্কুলের ছাত্রাবাসে আবির হোসেন খান (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছেন। তার গলায় কালো দাগ রয়েছে। উত্তরার ১১ নম্বর সরক্টরের শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী সে। গতকাল দুপুরেই ছাত্রাবাসে উঠেছিলো। শনিবার দিবাগত রাতে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ স্থানীয় আধুনিক হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার হোসেন নগর গ্রামের ফজলুর রহমান খান ও আবেদা সুলতানা খান দম্পতির একমাত্র সন্তান আবির। পরিবারটি বর্তমানে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আমতলী এলাকার থাকে। ফজলুর গ্রামীন ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও মা আবেদা পল্লি বিদ্যুতের বিলিং সহকারী হিসেবে নবাবগঞ্জে কর্মরত।

মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) লাল মিয়া উল্লেখ করেন, আবির মোবাইলে গেমস খেলায় আসক্ত ছিলো। শনিবিার দুপুরে তার বাবা তাকে স্কুলের ছাত্র হোস্টেলে দিয়ে আসেন। এরপর বিকেলে হোস্টেলের কাজের বুয়ার কাছে সে ফোন চায় বাড়িতে কথা বলবে বলে। তবে বুয়া ফোন না দিলে সে বুয়াকে বলে, ফোন যেহেতু দিবেন না তাহলে আমার বাড়িতে ফোন দিয়ে বলেন আমার লাশ নিয়ে যেতে।

সুরতহাল প্রতিবদেনে প্রাথমিক তদন্তে আরও উল্লেখ করা হয়, এরপর ওই কাজের বুয়া দৌড়ে নিচে গিয়ে শিক্ষকদের জানালে পরে তারা সপ্তম তলার ৭০১ নম্বর রুমে গিয়ে জানালার গ্রিলের সাথে গলায় গামছা পেচিয়ে খাটের উপর অচেতন অবস্থায় কাত হয়ে বসা অবস্থায় দেখতে পায় বলে দাবি করেছে। তখন তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ রয়েছে। এছাড়া মরদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল মর্গে আবিরের বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান খান বলেন, শনিবার আমিই তাকে হোস্টেলে পৌছে দিয়ে আসি। সন্ধ্যায় আবার হোস্টেল থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় আবিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে তিনি রাত সাড়ে নয়টার দিকে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পান। ছেলের মৃত্যুটি অস্বাভাবিক বলে দাবি করেন তিনি। আবিরের মা আবিদা বলেন, বাসায় থেকে চলে আসার সময়ও সব কিছু ভালোই ছিলো তার। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে বাসায় রেখে বাবার সাথে চলে আসলো। সে যে আত্মহত্যা করবে সেরকমও তো কিছুই মনে হয়না। সে আত্মহত্যা করার মত ছেলেও না।

এদিকে হাসপাতাল মর্গে শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের শাখা পরিচালক মো. বকুল মিয়া বলেন, গতকাল দুপুরে সে বাবার সাথে হোস্টেলে আসে। এরপর তার বাবা চলে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হোস্টেল থেকে তাকে খবর দেয়া হয় সপ্তম তলায় ৭০১ নম্বর রুমে গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় জানালার গ্রিলের সাথে কাত হয়ে অচেতন অবস্থায় বসে আছে আবির। পরে কাজের বুয়া তাকে দেখতে পেয়ে সবাইকে খবর দিলে আবিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App