গাবতলীতে ব্রীজের ভাঙ্গা অংশ অপসারণ হয়নি, দুই শতাধিক নৌযান আটকা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:২২ পিএম
ফাইল ছবি
আমিনবাজারে ভেঙে পড়া বেইলি ব্রিজ উদ্ধারের কাজ চলছে
আমিনবাজার-গাবতলীর তুরাগ নদীর ওপরের লোহার বেইলি ব্রীজটির ভেঙে পড়া অংশ গত দুইদিনেও সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। এর ফলে গত দুইদিনে বড় নৌযানগুলোর চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্রীজের দুই পাশে দুই শতাধিক নৌযান আটকা পড়েছে। নদী থেকে ব্রীজের ভাঙ্গা অংশ অপসারণে আরো দুইদিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিত্রা) জয়নাল আবেদীন জানান, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে তুরাগ নদীর এই অংশে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি কোনো যাত্রীবাহি নৌরুট নয়। তবে প্রতিদিন এই রুটটি দিয়ে শতাধিক পণ্যবাহি নৌযান চলাচল করে। গত দুইদিনে প্রায় দুই শতাধিক নৌযান ব্রীজের দুইপাশে আটকা পড়েছে। সেতু বিভাগ নদী থেকে ব্রীজের ভেঙ্গে পড়া অংশ অপসারণে কাজ করছে। আরো দুই একদিন সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নদী থেকে ব্রীজটির ভাঙ্গা অংশ অপসারণে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড কাজ শুরু করেছে। এজন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও কর্মীরাও কাজ করছেন। কিন্তু এখনো নদী থেকে ভাঙ্গা অংশ পুরোপুরি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার উৎপল ভট্টাচার্য জানান, নদী থেকে ব্রীজের ভাঙ্গা অংশ অপসারণ করে গত শুক্রবার নৌ চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করা হয়। ছোট ছোট নৌযান চলাচল করতে পারছে। তবে বালু, সিমেন্ট বোঝাই অপেক্ষাকৃত বড় নৌযানগুলো চলাচল করতে পারছে না। এগুলো চলার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই বড় নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রিজের স্থানে লাল পতাকা এবং রাতে দুর্ঘটনা এড়াতে লাল বাতি স্থাপন করা হয়।
ব্রীজ ভেঙ্গে নৌরুট বন্ধ হয়ে যাওয়া বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ব্রীজের নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে। বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ জেসমিন-২ নদী থেকে ভাংঙ্গা অংশ উদ্ধারে কাজ করছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বালুবাহি একটি নৌযানের ধাক্কায় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তুরাগ নদীর এই রুটটি আমিনবাজার-আশুলিয়া নৌরুট হিসাবেই পরিচিত। ব্রিজ নদীতে ভেঙে পড়ায় নৌপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নিরাপদ নৌ চলাচলের স্বার্থে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।