×

সারাদেশ

মাধবপুরে ভূমিহীন ২৪টি পরিবারকে বসতভিটা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০১ পিএম

মাধবপুরে ভূমিহীন ২৪টি পরিবারকে বসতভিটা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

রাস্তা না রেখে সীমানা প্রাচীর নির্মানের ফলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের লোকজনদের। ছবি: ভোরের কাগজ

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের ভূমিহীন ২৪ টি পরিবারকে ৩ দিনের মধ্যে বসতভিটা সরিয়ে নিতে রেল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশ পাওয়ার পর ভূমিহীন ২৪ টি পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা। বিকল্প কোন থাকার জায়গা নেই তাদের। ছেলে মেয়ে নিয়ে গাছ তলায় থাকতে হবে বলে পরিবার গুলো জানিয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিটক একটি লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত আবেদনে জানা যায়, নোয়াপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের উত্তর পাশে অবস্থিত রেলওয়ে লাইনের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে ৪০ বছর যাবত ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের ২৪ টি পরিবার বসবাস করছে।

রেলওয়ে ষ্টেশনের ১ টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্টেশনের চারদিকে সীমানা প্রাচীর ণির্মান করা হচ্ছে। ২৪ টি পরিবারের ঘর সীমানা প্রাচিরের বাইরে অবস্থিত। সীমানা প্রাচীর নির্মানের ফলে তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

রাস্তা না রেখে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হলে ওই এলাকায় বসবাসরত লোকদের চলাচলের কোন রাস্তা থাকবে না। মৃত দেহ দাফন ও লোকজনদের চলাচলের সুবিধার্থে গত ১১ আগষ্ট স্থানীয় লোকজন মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে রেল মন্ত্রী বরাবর একটি দরখাস্ত করেন।

গত ১৪ আগষ্ট এলাকাবাসী রাস্তার রাখার দাবিতে একটি মানববন্ধন করে। পরে ১৫ আগষ্ট মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এলাকাটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন।

গত ২৬ আগষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্রগ্রাম সিআরবি চীফ ইঞ্জিনিয়ার এলাকাটি পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষাত করেন এবং এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ও চলাচলের জন্য ২ টি পকেট গেইট রাখার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একটি আবেদন করেন।

কিন্তু হঠাৎ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর উপ-সহকারী প্রকৌশলী/কার্য্য বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জ এর স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে তিন দিনের মধ্যে বসত ভিটা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের বাসিন্দা মো. ফায়েজ মিয়া জানান, আমাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হলে মাথা গুজার কোন ঠাই হবে না। আমাদের সন্তানদের পড়ালেখা করতে বিদ্যালয়ে যাওয়া হবে না। আমাদের পরিবারের অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী মহিলা ও সদ্য প্রসবিত শিশু বাচ্চাদের নিয়ে আমরা কোথায় আশ্রয় নেব?

মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, বসতবাড়ি ছাড়ার নির্দেশের বিষয়টি আমি অবগত নই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App