বাংলাদেশ তালেবান রাষ্ট্র নয় যে পরী মনিদের নিগৃহীত হতে হবে। মাদকের অপব্যবহার বাড়ার পেছনে রাষ্ট্রের নিরব ভূমিকা আছে। পরী মনিকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার করে হেনস্তা করার কারণ তিনি প্রতিবাদী। অন্যায়ভাবে তাকে বারবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে মত ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর।

তিনি বলেন, আদালতের এই ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারনা সৃষ্টি হয়। পরী মনির মতো অপরাধে অভিযুক্তদের বারবার রিমান্ডে নেয়া উচিত নয়। উচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ না করলে তার জামিন হয়তো আরো বিলম্বিত হতো।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে ‘বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ার কারণ’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সমাজচিন্তক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ব্যবসায় যারা জড়িত তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হয়তো পরী মনিকে বোট ক্লাবে যেতে হয়েছে। তা না হলে এদেশের শোবিজ পেশায় যুক্তরা এই পেশায় টিকে থাকতে পারছে না। পরী মনির ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। তবে পরীমনির পক্ষে জনমত তৈরি হওয়ায় ন্যায়বিচার নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। যদিও বর্তমানে জনমতের প্রতিফলন হওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আটক বা গ্রেপ্তারের পর কাউকে অভিযুক্ত করে রাতের রাণী বা বিভিন্ন আপত্তিকর উপাধি দেওয়া মোটেই সঠিক নয়। বিচারের আগেই রায়ের মতো স্টেটমেন্ট দিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করে কারো ব্যক্তিগত সম্মানহানি করা উচিত নয়। যা ঘটেছে চিত্রনায়িকা পরী মনির ক্ষেত্রে। অথচ বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে কাউকে নিষ্ঠুর, অমাননিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড বা এরূপ কোন আচরণ করা যাবেনা।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি বাঙলা কলেজকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।