নোয়াখালীর চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হকের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে এক ইউপি চেয়ারম্যানের চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ প্রতারণার ঘটনাটি উপজেলার ৪নং চরওয়াপদা ইউনিয়নে ঘটে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনির আহমেদ চরজব্বর থানায় ওই দিন রাতেই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির আহমেদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বৃহস্পতিবার দুটি নাম্বার থেকে কল আসে। এ সময় কলদাতা নিজেকে অফিসার ইনচার্জ চরজব্বর থানা বলে পরিচয় দেয়।

একইসঙ্গে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করার উদ্দেশ্যে তার নিকট টাকা চান। এদিকে অপর আরেকটি ফোনকলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী পরিচয় দিয়ে অন্যান্য অফিসারদেরকে ম্যানেজ করার জন্য চার লক্ষ টাকা পাঠানোর জন্য বলেন।

পরে তাদের কথা অনুযায়ী চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত ৮টি বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে চার লক্ষ টাকা পাঠান।

চেয়ারম্যান মনির আহমেদ জানান, টাকা পাঠানের পর ওসি পরিচয় দানকারী ব্যক্তি রাত নয়টার দিকে তাকে থানায় গিয়ে এ-সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বলেন। পরে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারম্যান থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন।

ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময় আমার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরটি ক্লোন করে একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে প্রতারিত করার খবর ভুক্তভোগী কয়েকজন সরাসরি থানায় এসে জানান। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান করেন এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান।