×

সারাদেশ

কেশবপুরে খেলার মাঠের মাঝ দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:১৩ পিএম

কেশবপুরে খেলার মাঠের মাঝ দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ

গত রোববার স্কুল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই মাঠের মাঝখান দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে। ছবি: ভোরের কাগজ

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভোগতী নরেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্কুল কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করায় এলাকাবাসির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা না করেই সীমানা প্রাচীর করছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অর্ধশতাধিক বছরের বিদ্যালয়ের এ মাঠটি রক্ষা করার জন্য এলাকাবাসী আবেদন করেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোগতী নরেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অপর পাশেই রয়েছে ঈদগাহ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই মাঠে খেলাধুলা, ঈদের নামাজ আদায়, বিভিন্ন ধর্মীয় সভা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

গত রোববার স্কুল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই মাঠের মাঝখান দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে। এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের সীমানা প্রাচীরের ঘটনায় এলাকার মানুষের ভেতর ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ওই গ্রামের বৃদ্ধ বেলায়েত আলী সরদার বলেন, ছোটবেলায় এই মাঠে আমরাও খেলাধুলা করেছি। কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রাচীর দেয়ার কাজ করায় আমরা এলাকার মানুষ অসন্তুষ্ট। একই গ্রামের শাহরিয়ার হাবিব বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর নাহার পারভিন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের জমি মাঠের মাঝখান দিয়ে সরকারি অনুদান আসায় স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মেপে সীমানা প্রাচীর করা হচ্ছে। এ সময় স্কুল কমিটি ও জমি দাতারা উপস্থিত ছিলেন।’

এ ব্যাপার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, মাঠের মাঝখান দিয়ে সীমানা প্রাচীরের বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন পরামর্শ করেনি। ইউএনও অফিসে এলাকাবাসী আসার পর বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয়ের জায়গাটি কাগজে কলমে আছে ৪৩ শতক। ৪৮ শতকের খাজনা দেওয়া হয়। মাঠে এর থেকেও আরও বেশি জমি রয়েছে। তবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাঠটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েই কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে পুনরায় পরিমাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App