×

মুক্তচিন্তা

আমার গ্রাম আমার শহর : আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে করণীয়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৩২ এএম

আমার গ্রাম আমার শহর : আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে করণীয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন- গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত শক্ত না হলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ভিত মজবুত হবে না। স্বাধীন দেশে জাতির পিতা সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে নগর ও গ্রামের বৈষম্য পর্যায়ক্রমে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ; গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়ন; কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ; শিক্ষা, যোগাযোগ ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার যুক্ত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর গ্রাম উন্নয়ন দর্শনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে এসেছেন, যা গ্রামীণ অবয়ব উন্নয়নে সত্যিই আশা-জাগানিয়া। এই প্রতিপাদ্যের ইতিবাচক দিক হলো- রাষ্ট্রীয় মূল দর্শনে গ্রাম উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিত করতে হলে গ্রামীণ মানুষের জনাকাক্সক্ষা, চাহিদা, সম্পদের প্রাপ্যতা ও জোগান, প্রকৃতি প্রতিবেশ, মানুষের আচরণগত বৈশিষ্ট্য মূল্যায়নে গ্রামভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, যে কোনো পরিকল্পনা টেকসই করতে হলে সেই পরিকল্পনা যে সুবিধাভোগীদের কল্যাণে গৃহীত; বিষয়টি তাদের অনুধাবনে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে সমন্বিত প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন বেগবান হয় এবং স্থিতিশীলতা পায়। বিষয়টি অনুধাবনে নিয়েই ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ পরিকল্পনায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে- পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্য হবে গ্রামাঞ্চলে কর্মসৃজন, নাগরিক সুযোগ-সুবিধার প্রসার ও গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসনের হার হ্রাস করা। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রত্যেক ইউনিয়নে পরিকল্পিত আবাসন, শিক্ষা, কৃষিনির্ভর শিল্পের প্রসার, চিকিৎসাসেবা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে উপজেলা সদর ও বর্ধিষ্ণু শিল্পকেন্দ্রগুলোকে আধুনিক শহর-উপশহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে; যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের সম্পূূরক। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ গড়তে হলে অবশ্যই শহরের সুযোগ-সুবিধা স্বল্প পরিসরে হলেও গ্রামে নিয়ে যেতে হবে। হ্রাস করতে হবে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য। গ্রাম উন্নয়ন পরিকল্পনায় কৃষি, পানি, শক্তি, স্যানিটেশন, আবাসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিশেষায়িত ক্ষেত্রগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রামবহুল বাংলাদেশকে পল্লীসমাজ হিসেবে বিবেচিত হলেও এলাকাভেদে প্রত্যেকটি গ্রামের রয়েছে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। সেই নির্দিষ্ট জীবনযাত্রার রূপরেখা বিবেচনায় স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, হাটবাজার, পাঠাগার, ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ কৃষি উপকরণের প্রাপ্যতা বিবেচনায় শিল্পকারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে। তবে যে পরিকল্পনাই গ্রহণ হোক না কেন, সেখানে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে। স্বল্প ভূখণ্ডের বাংলাদেশের আগামীর খাদ্য নিরাপত্তার দিক অনুধাবন করে কৃষিজমি সাশ্রয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার বিকল্প নেই। সবুজ গাছপালা আমাদের গ্রামগুলোর প্রাণ। আমরা যেন অপরিকল্পিত পরিকল্পনায় গ্রামগুলোকে শহরের রূপ দিতে গিয়ে সেই প্রাণে ছেদ না ধরায়, সে দিকে মনোযোগ দিতে হবে। প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষা করে যেন পুষ্টি চাহিদা জোগানোর পাশাপাশি সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়, সে জন্য গ্রামীণ জনপদের সব গভীর-অগভীর জলাধার রক্ষাসহ পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। গ্রামে ‘ক্লিন এনার্জি’ যেমন- বাতাস, সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস, মাইক্রো-হাইড্রোর ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি এবং আশু করণীয় বিষয়কে স্থান দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নকশা পর্যালোচনা করলে লক্ষ্য করা যায় যে, গৃহটির বহুমাত্রিক ব্যবহার, প্রাইভেসি, ভেন্টিলেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিতব্য গৃহের ফাউন্ডেশন ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ ইঞ্জিনিয়ারিং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেনি। দেশের বিভিন্ন স্থানের ভূমি ও পরিবেশের বিষয় বিবেচনায় গৃহ নির্মাণের ভিত ও অন্যান্য বিষয়ে কিছু পার্থক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। একই ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন স্থানে গৃহনির্মাণ করা হচ্ছে, যা যথার্থ নয়। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে, যা জনস্বার্থে বিবেচনায় রাখতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতা ও সরকারি অর্থের অপচয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, যার যে কাজ তাকে দিয়ে সে কাজ না করিয়ে, অন্য কাউকে দিয়ে করানো এবং সেসব মন্ত্রণালয় বা দপ্তর সরকারি উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী কাজ করার কথা তারাও সরকারি অর্থ ব্যয়ে অংশীদার হতে চায়। এ ধরনের শত শত মিলিয়ন ডলারের কাজ এদেশে চলছে। হয়তোবা আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি এ ধরনের অতি আগ্রহের কারণেই ঘটেছে। কথায় বলে ‘যার কর্ম তারে সাজে, অন্য লোকের লাঠি বাজে’। হতদরিদ্র জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে বিষয়টি সন্নিবেশিত করেন। বর্তমানে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার ১.৪নং লক্ষ্যে বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েছে। সংবিধানের এই মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের গৃহ দেয়ার যে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন, তা কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। সেই দিক বিবেচনায় আইডিইবি স্টাডি করে প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনটি প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে। প্রস্তাবগুলো হলো- (১) উঁচু জায়গা ও মাটির ধারণক্ষমতা বিবেচনায় বিভিন্ন স্থানে রান্নাঘর, টয়লেট ও বারান্দাসহ ২ বেডের সেমিপাকা টিনশেডের ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে। এই প্রস্তাব ঠিকাদার অথবা প্রকল্প কমিটি দ্বারা নির্মাণ করা যাবে। (২) ভাঙনপ্রবণ ও ভরাট মাটির ওপর গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে টিনের চালা ও টিনের বেড়া দ্বারা স্থানান্তরযোগ্য ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে। যেখানে পিন্থ লেভেল বা ফ্লোর লেভেল পর্যন্ত পাকা দেয়াল ও মেঝে পাকা করতে হবে। কখনো গৃহগুলো নদীভাঙনে পড়লেও গৃহ গ্রহীতা স্বল্প ব্যয়ে ও সহজে অন্য যে কোনো স্থানে ঘরটি হস্তান্তর করতে পারবে। (৩) যদি সরকার অর্থায়ন করতে পারে তাহলে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ এবং ‘কৃষিজমি রক্ষা কর-পরিকল্পিত গ্রাম গড়’ প্রতিপাদ্য বাস্তবায়নে জমি সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যেক সুবিধাভোগীর অনুকূলে ২ শতাংশ মূল্যবান কৃষিজমি প্রদান না করে বরং ৫ শতাংশ জমিতে ছয়তলা ভিতের ওপর ছয় তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা অধিকতর যুক্তিযুক্ত হতে পারে। যেখানে নিচতলায় কমন স্পেস (সবাই পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারবেন) এবং অবশিষ্ট প্রতি তলায় ৪টি ফ্ল্যাট করে সর্বমোট ২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা যেতে পারে, যার প্রতিটির আয়তন ৪৮০ বর্গফুট হবে। এতে নির্দিষ্ট ৫ শতাংশ জমিতে ২০টি পরিবার টেকসই গৃহে প্রায় শত বছর বসবাস করতে পারবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রতি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ হারে জমি প্রদান করলে ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ২৪৪ শতাংশ বা ১৭,৭১২.৪৪ একর জমি প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে এ নিবন্ধে উল্লেখিত প্রস্তাবনা অনুযায়ী ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ ফ্ল্যাটের জন্য ৪৪ হাজার ২৮১টি ভবন প্রয়োজন হবে এবং প্রতিটি ভবনের জন্য ৫ কাঠা হারে ২ লাখ ২১ হাজার ৪০৫ কাঠা বা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৮ শতাংশ বা ৩,৬৫৯.৫৮ একর জমি প্রয়োজন হবে। ফলে জমি সাশ্রয় হবে ১৪,০৫২.৮৬ একর। এই প্রস্তাব অনুযায়ী ৫ শতাংশ জমিতে ২০টি পরিবারকে গৃহ/ফ্ল্যাট প্রদানের মাধ্যমে একেকটি ক্লাস্টার ভিলেজে যে পরিমাণ জমি রক্ষা হবে- সেই জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে এসএমই বা কুটির শিল্প নির্মাণ করে দেয়া হলে একদিকে যেমন কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে, অন্যদিকে বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের আংশিক ব্যয় উঠে আসবে। প্রশ্ন হচ্ছে- এই আশ্রয়ণ প্রকল্প বা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কার্যক্রম তত্ত্বাবধায়ন বা নির্মাণ করবে কে বা কারা? শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্প বা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কার্যক্রমই নয়- দেশের সর্বত্র পরিকল্পিত গৃহায়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সামগ্রিক পরিকল্পনা ও জনগণকে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে টাইপ নকশা/ডিজাইন সরবরাহ করাসহ জনগণের গৃহবিষয়ক সব নির্মাণ কাজে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছিলেন। অত্যন্ত স্বল্প পরিসরের কাজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় অবস্থান করছে। তাই আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ ‘গ্রাম হবে শহর’ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব প্রদান করা উচিত। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক কার্যক্রমকে ২ ভাগে বিভক্ত করে একটি অংশকে সব গ্রামীণ ও অপর ক্ষুদ্র অংশটিকে শহরের আবাসন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের শহরভিত্তিক কার্যক্রম সীমিত করে (কারণ দেশের প্রায় সব শহরের উন্নয়নে একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে) প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক কার্যক্রম গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত করা মঙ্গলকর হতে পারে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা পর্যায়ে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দপ্তর বা উপ-সহকারী স্থপতির দপ্তর প্রতিষ্ঠা করে এ পর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে এত জনবল একত্রে নিয়োগ দেয়া না গেলেও অর্ধেক উপজেলায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জনবল প্রেরণ করে এবং বাকি অর্ধেক উপজেলায় কর্মরত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, এলজিইডি, বায়োগ্যাস, পিআইও, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিয়মনীতি অনুযায়ী গ্রামীণ গৃহায়ন কার্যক্রম শুরু করার জন্য সরকারি নির্দেশনা জারি করা যেতে পারে। পরিকল্পিত গ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত নকশা অনুযায়ী ঘরবাড়ি নির্মাণে জনসাধারণকে উৎসাহিতকরণে ঘরবাড়ি নিবন্ধন কার্যক্রম প্রচলন এবং নিবন্ধিত ঘরবাড়ি নির্মাণে স্বল্প সুদে সম্পূর্ণ বা আংশিক গৃহঋণ প্রদান করা যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মাণে আবাদি জমির ব্যবহার হ্রাসকল্পে গ্রামীণ জনপদে সমবায় ভিত্তিতে অথবা পারিবারিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহীদের সরকারিভাবে ঋণ সহায়তা দিয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে। এতে একটি গ্রামের সব মানুষকেই ২/৩টি বহুতল ভবনে বসবাসের সুযোগ করে দেয়া সম্ভব হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ তথা দেশের প্রতিটি মানুষকে আবাসন সুবিধা প্রদানের বিশাল কার্যক্রম বাস্তবায়নে যতশীঘ্র সম্ভব গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রথমে গৃহায়ন বিভাগ এবং পরবর্তীতে গৃহায়ন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। দেশের জনগণের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার আবাসন নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পিত গ্রামীণ জনপদ গড়ার বিশাল কর্মযজ্ঞ এই স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কারণেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

এ কে এম এ হামিদ : উন্নয়ন গবেষক ও সভাপতি, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App