সিলেটে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ জাপা প্রার্থীর
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:২৬ পিএম
সিলেটে উপনির্বাচনে শনিবার সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়লেও আশানুরুপ ভোটার ছিল না। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিব সার্বিকভাবে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ দাবি করলেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। তার ভাষ্য, মারধর করে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। লাঙ্গলের ভোটারদের জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে আসনের ১৪৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয় ভোগটগ্রহণ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ও সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
সকাল সোয়া ৮টায় দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজারের ধরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। এ সময় হাবিবের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী ও দলীয় নেতাকর্মী। বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী ভোট দিয়েছেন নিজ কেন্দ্র দাউদিয়া গৌছ উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসায়। আর ইভিএম মেশিন জটিলতায় ভোট দিতে পারেন নি জাপা প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিব সার্বিকভাবে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ দাবি করলেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও অভিযোগ করেছেন বলে জানান আতিক।
আতিক জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৭টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দখল করে নিয়েছেন। পিটাইটিকর, কাসিম আলী স্কুল ও চন্ডিবাজারসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলো থেকে লাঙ্গলের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদেরও মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আতিকের অভিযোগ, দক্ষিণ সুরমার কুচাই শ্রীরামপুর সেন্টার থেকে লাঙ্গলের এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। লাঙ্গলের ভোটারদের জোর করে নৌকায় ভোট দেয়ানো হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অমূলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
সিলেট- আসনের সাংসদ মাহমুদুস সামাদ কয়েস করোনায় মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ইসি। এরপর দুই দফা ভোটগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে মোট ১৪৯টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটারের ভোট দেওয়ার কথা। সবকটি কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।