×

সারাদেশ

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর তিতাসের সেই বাধ উচ্ছেদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৩৫ পিএম

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর তিতাসের সেই বাধ উচ্ছেদ

বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীতে মাছ ধরার বাঁধ শনিবার উচ্ছেদ করে প্রশাসন। ছবি: ভোরের কাগজ

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর তিতাসের সেই বাধ উচ্ছেদ

শনিবার তিতাসে বাধ দিয়ে মাছ ধরার জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেয় প্রশাসন। ছবি: ভোরের কাগজ

“তিতাস নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীদের মাছ চাষ, উদাসীন প্রশাসন” এই শিরোনামে গত শুক্রবার ভোরের কাগজ লাইভে সংবাদ প্রকাশের ১দিন পরই প্রভাবশালী নেতা খালেকের দখলে থাকা তিতাস নদীর সেই বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মাছ চাষের ওই বাঁধটি অপসারণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা শমসাদ বেগম।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর ধরে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের তিতাস নদীর নিলখী গ্রাম থেকে আশ্রাফবাদ গ্রামের মধ্যে বাঁশ ও জাল দিয়ে তিতাস নদীর আড়াআড়ি প্রায় পাঁচশ ফুট লম্বা বাধ দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে যাচ্ছেন আশ্রাফবাদ গ্রামের প্রভাবশালী নেতা আব্দুল খালেক । এই বাঁধের কারণে এই এলাকায় নৌ-চলাচল বন্ধ এবং কচুরিপানা আটকে পানিতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছিলো। এই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক জেলে পরিবার বাধের কারণে নদী থেকে মাছ ধরতে না পারায় অনেক জেলে পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান জেলে পরিবারগুলো।

[caption id="attachment_305698" align="aligncenter" width="700"] শনিবার তিতাসে বাধ দিয়ে মাছ ধরার জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেয় প্রশাসন। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

জানা যায়, নিলখী গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক জেলে পরিবার রয়েছে বাঁধের কারণে তারা তিতাস নদীর এই অংশে মাছ ধরতে পারছেনা। মাছ ধরতে গেলে তাদের নানাভাবে হয়রানি ও মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে। মাছ ধরতে না পারায় অনেক জেলে পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা শমসাদ বেগম জানান, সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পেরে আমি আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বাধ উচ্ছেদ করেছি এবং জেলেদের এই নদীতে মাছ ধরতে বলে দিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App