রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার একটি বাসার ছাদ থেকে হাফিজ (১৩) নামের এক কিশোরের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে লালবাগ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ বাড়ির খাল এলাকার হারুন শেখের ছেলে সে। হাফেজ পরিবারের সঙ্গে লালবাগ ডুরী আঙুরী লেনের সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো হাফিজ। নিউমার্কেট এলাকাতে হকারী করতো সে।

লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফিরোজ আলম জানান, খবর পেয়ে গত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ডুরী আঙুরী লেনের করলেন ৪৭/১ নম্বর এনামুল হকের বাড়ির পঞ্চম তলার ছাদ থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছাদের বাথরুমের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়া ছিল মৃতদেহটি। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করা। এছাড়া তার ঘাড়ে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। যেখানে তার পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে গেছে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাটের রশি ও রক্তমাখা বস্তা, চিপসের প্যাকেট সহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাকে জবাই করে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য তার পরনের জামা কাপড় খুলে ফেলা হয়েছে। বিস্তারিত আরো জানার জন্য তদন্ত চলছে।

নিহতের বাবা হারুন শেখ জানায়, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ বাড়ির খাল এলাকায়। হাফেজ পরিবারের সঙ্গে লালবাগ ডুরী আঙুরী লেনের সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো সে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে হাফিজ ছিল ছোট।

তিনি আরও জানায়, সে নিজে রিকশা চালায়। গতকাল দুপুড় ১টা পর্যন্ত বাসায় ছিল হাফিজ। বিকাল ৫টার সময় বাসার সামনে খেলা করছিল। তারপর থেকে হাফিজকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে জানতে পারি একটি বাসার ছাদে কে বা কারা তার ছেলেকে গলা কেটে মেরে ফেলেছে। এলাকায়তো আমার সঙ্গে শত্রুতা নেই।