প্রযুক্তির জ্ঞানশূন্য তালেবান, বিমানবন্দর সচলে কাতারের দ্বারস্থ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫৭ পিএম
কাবুল বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়তেই কাবুল বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে তালেবান। ‘যুদ্ধজয়ের’ আনন্দে রকেট ছুড়েছে তারা। কোথাও আবার বিমান ওড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু লাভ কী? বিমান ওড়াতেই জানে না অধিকাংশ তালেবান জেহাদি। শুধু কী তাই, ভেঙেচুরে রয়েছে বিমানবন্দরের রানওয়ে। নেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ব্যবস্থা। পরিস্থিতি দেখে তো মাথায় হাত পড়েছে তালেবানদের। শেষপর্যন্ত বিদেশি শক্তিকেই ডেকে পাঠাল বিমানবন্দর সংস্কারের কাজে।
সূত্রের খবর, বিমানবন্দর মেরামত এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য কাতারের দ্বারস্থ হয়েছেন তালেবান। তাদের অনুরোধ মেনে বুধবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে কাতারের বিমান। এসেছেন এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। তারাই কাবুল বিমানবন্দরের পুনর্গঠন এবং বিমানগুলির সংস্কারের কাজ করবেন। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
যদিও একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, তালেবানদের অনুরোধে সাড়া দিয়েই আফগানিস্তানে এসেছে দলটি। কিন্তু এখনও কাজ শুরু করেনি কাতারের বিশেষজ্ঞ দল। বরং বিভিন্ন শর্ত এবং চুক্তি নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তারা। সেই জট কাটলে তবেই শুরু হবে বিমানবন্দর পুনর্গঠনের কাজ। মূলত, ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং উদ্ধারকার্য পুনরায় চালু করার উদ্দেশেই কাবুল বিমানবন্দরের পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে মনে করছে কাতারের বিশেষজ্ঞ দল।
এ প্রসঙ্গে তালেবানের শীর্ষ নেতা আনাস হাক্কানি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞ দলটি কাবুল বিমানবন্দরে তার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দেবে। দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হবে। উদ্ধারকার্য চলানোর সময় পশ্চিমী শক্তিগুলো বিমানবন্দর নষ্ট করেছে।
জানা গেছে, দেশ ছাড়ার আগেই আফগান বায়ুসেনার ৭৩টি বিমান অকেজো করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। কাবুল বিমাবন্দর দখল করলেও তা পরিচালনা করার মতো দক্ষতা নেই তালেবানের। বিশেষ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে শুরু করে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করার মতো পরিকাঠামো এই মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরে নেই। আর বিমানবন্দরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রায় সকলেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। একইসঙ্গে, কোনও বিদেশি বাণিজ্যিক বিমানসংস্থা যুদ্ধজর্জরিত আফগানিস্তানে পরিষেবা দিতে রাজি নয়। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও কাতারের কাছে বিমানবন্দরটি পরিচালনা করার আবেদন জানিয়েছে তালেবান।