×

পুরনো খবর

নাসির-তামিমার মামলার প্রতিবেদন পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ০৯:৫৬ পিএম

আরেকজনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে পঞ্চম দফায় নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা যায়, এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশু কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

মামলায় দণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিয়ের তথ্য গোপন করে অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে, অপহরণ করা বা আটক করা, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারিরও আবেদন করা হয় আদালতে। মামলার ওইদিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর শুনানি শেষে বিকেলে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ৩১ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় পরে দ্বিতীয় দফায় ২ মে, তৃতীয় দফায় ২৩ জুন এবং চতুর্থ দফায় ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।

উল্লেখ্য, আদালতে এ মামলার আগে নাসির-তামিমার বিয়ের বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডি করেছিলেন রাকিব। এ ঘটনায় রাকিবকে ফোন করে জিডি করার ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে বলেন নাসির। রাকিবের প্রশ্ন ছিল আপনি কি তামিমা সম্পর্ক সব কিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন, তার সবকিছু জেনেশুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে। তার আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল সবকিছুই আমি জানি। আপনার বউ আপনার সঙ্গে ভালো থাকলে নিশ্চয়ই আপনার ১১ বছরের সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসত না।

পরে এ জিডি ও ফোনালাপে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিবাহ নিয়ে সমালোচনা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু এগুলো পাত্তা না দিয়ে গুলশানের লেকশোর হোটেলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় নাসির-তামিমা জুটির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App