ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগে নির্যাতন, পৃথক মামলায় দুই শিবির নেতা কারাগারে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ০২:৩৪ পিএম
হামিদুর রহমান আজাদ ও দীন মোহাম্মদ
ফেনীর সোনাগাজীতে জামায়াত নেতার মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টাকালে এক শিবির নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন ও ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত দুজনকেই জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী গ্রামের হামিদুর রহমান আজাদ বগাদানা ইউনিয়নের জামাতের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই এর দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন। ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রাইভেট বন্ধ করে দেয় ছাত্রীর পরিবার।
রোববার মধ্যরাতে ছাত্রীর ঘরে ডুকেন আজাদ। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীর কক্ষ থেকে পরিবারের লোকজন আজাদকে আটক করে ঘরের সামনের উঠানে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে আজাদকে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করেন। নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেন ছাত্রীর ভাই সাবেক শিবির নেতা দীন মোহাম্মদ। রাতে ফেসবুকে ছবি দেখে পুলিশ আজাদকে উদ্ধার করেন এবং দীন মোহাম্মদকে আটক করেন ।
মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে আজাদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। অন্যদিকে আজাদের বাবা বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রীর ভাইকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাল্টা মামলা করেন।
ছাত্রীর বাবা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষক। তিনি জানান, প্রাইভেট বন্ধ করার পর থেকে আজাদ তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। রোববার রাতে ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
হামিদুর রহমান আজাদ উপজেলা ছাত্রশিবির উত্তরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলার চরবদরপুর এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে। আজাদের বাবা জানান, ওই মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্ক আছে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তার ছেলেকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আজাদ ও ছাত্রীর ভাই দীন মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।