×

টেনিস

ওসাকার শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩২ পিএম

ওসাকার শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু

জাপানি টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা।

ফ্রেঞ্চ ও উইম্বলডন ওপেনে ছিলেন না জাপানি টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা। তার আগের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন। মানসিক অবসাদের কারণ দেখিয়ে বছরের সেরা এই দুই ওপেন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি। মাঝে ঘরের মাঠে অলিম্পিক টেনিসে অংশ নিলে সফল হতে পারেননি ওসাকা। তবে বছরের শেষ গ্রান্ড স্ল্যামে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। এর আগে ২০২০ মৌসুমের ইউএস ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। মঙ্গবার(৩১আগস্ট) শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নাওমি ৬-৮, ৬-১ সেট ব্যবধানে হারিয়েছেন চেক মারি বুজকোভাকে। অন্যদিকে প্রথম রাউন্ডে হেরে আসর থেকে বিদায় নিয়েছেন অ্যান্ডি মারে।

বছরের সেরা চার গ্রান্ড স্ল্যামের শেষটি ইউএস ওপেন শুরু হয়েছে গত ২৪ আগস্ট। এবারের আসরের অন্যতম চমক নোভাক জোকোভিচ। এবারের ইউএস ওপেন জিতলে তিনি গড়বেন দুইটি রেকর্ড। পুরুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১টি গ্রান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড। অন্যটি ৫২ বছর পর কোনো পুরুষ তারকার এক পঞ্জিকা বছরে সব গ্রান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড। সময়ের সেরা দুই টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরার না থাকায় মিশনটা সহজই হচ্ছে জোকোভিচের জন্য। এদিকে সেরেনা উইলিয়ামস না থাকায় নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে নাওমি ওসাকারও। বছরের প্রথম গ্রান্ড স্ল্যামটি জয়ের পর মাঝের দুটিতে বিরতি দেন। মাঝে দেশের মাটিতে টোকিও অলিম্পিকে খেললেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বিদায় নিয়েছেন তৃতীয় রাউন্ডে। সর্বশেষ মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলে আসলেও ছন্দ ফিরে পেতে খুব বেশি সময় নেননি। বছরের শেষ গ্রান্ড স্ল্যামে এসে মঙ্গলবার(৩১ আগস্ট) ইউএস ওপেনে আবার দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষ বুজকোভাকে কোনো সুযোগ না দিয়ে সরাসরি সেটে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যান ২৩ বছর বয়সি জাপানি এই তরুণী। ইউএস ওপেনে নাওমির ওসাকা প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২০১৮ সালে। সেটিই ছিল তার ক্যারিয়ারে প্রথম কোনো গ্রান্ড স্ল্যাম জয়। ২০১৫ সালে টেনিসে অভিষেকের পর ওসাকার ঝুলিতে ইউএস ওপেনে দুইটি গ্রান্ড স্ল্যামের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও রয়েছে দুইটি ট্রফি। তবে এখন পর্যন্ত জাপানি এই তরুণী জিততে পারেননি ফ্রেঞ্চ ও উইম্বলডন ওপেনের কোনো ট্রফি। বুধবার(১সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ সার্বিয়ান টেনিস তারকা ওলগা দানিলোভিচ।

অন্যদিকে ছেলেদের এককে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন ব্রিটিশ তারকা অ্যান্ডি মারে। স্টেফেনাস সিটসিপাসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপহার দিলেও প্রতিরোধ ধরে রাখতে পারেননি। গ্রিক এই টেনিস তারকার সঙ্গে লড়াইয়ে হেরেছেন ২-৬, ৭-৬ (৯-৭), ৩-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে। প্রথম তিন সেট শেষে এগিয়ে ছিল অ্যান্ডি মারে। কিন্তু শেষ দুই সেটে হেরে তার বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন সিটসিপাস। এদিকে হেরে অ্যান্ডি মারে অভিযোগ করেছেন সিটসিপাসের বারবার বিরতি নেয়াকে। ম্যাচের তৃতীয় সেট জিতে যখন ম্যাচে লিড নেন মারে, তখন পায়ের ব্যথায় মেডিকেল সাহায্য নেন সিটসিপাস। পরে চতুর্থ সেটটি তিনি জিতে নেন ৬-৩ গেমে। এই সেটের মাঝপথে বাথরুমের জন্য বিরতিতে যান গ্রিক তারকা। এই বিরতির আগে সেটটিতে এগিয়ে ছিলেন মারে। বিরতির পর মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটায় ক্ষেপেছেন সাবেক এই নম্বর ওয়ান টেনিস তারকা। ম্যাচ শেষে সিটসিপাসের এমন কাণ্ডের সমালোচনা করে মারে বলেছেন, এমন একটা ম্যাচের মাঝে যদি সাত-আট মিনিট করে বিরতি আসে, সেটি ছন্দে থাকা যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য খুব হতাশার। এমন বিরতিগুলো প্রয়োজনীয় ছন্দে পতন ঘটায়। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতিপক্ষের এমন দুটি দীর্ঘ বিরতিকে কোনোভাবেই কাকতালীয় ব্যাপার বলতে চাই না আমি। এ সময় ম্যাচে সিটসিপাসের টয়লেট ব্রেকের প্রভাবের কথা বুঝিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি বলছি না যে, নিশ্চিতভাবেই ম্যাচটি জিতে যেতাম। তবে অবশ্যই আমি এটা মনে করি, এ ধরনের বিরতি ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে। মারের এমন অভিযোগের বিপরীতে সিটসিপাস আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, আমি মনে করি না যে বিরতি নিয়ে কোনো আইনের অপব্যবহার করেছি আমি। আমি সব সময়ই খেলার আইন মেনে চলি। এটিপি যে বিধান করেছে, সেটির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে আমার। পরের রাউন্ডে সিটসিপাসের প্রতিপক্ষ ফ্রেঞ্চ তারকা আদ্রিয়ান মান্নারিনো।

এদিকে ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে মেয়েদের এককে জয় পেয়েছে দারিয়া কাসাতকিনা, তামারা জিদানসেক, ওনস জাবির, এলিস মের্টেন্স, এলিনা সভিতলিনা, ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, বারবোরা ক্রিচিকোভা, কামিলা রাখিমোভা ও কাজা জুভান। অন্যদিকে পুরুষ এককে রবার্তো বাতিস্তা আগুত, জুইদো পেলা, কার্লোস গার্ফিয়া, অ্যালেক্্ির পপিরিন, এমিল রুসুভাউরি, অ্যালেক্স মোলকান ও গ্রিগর দিমিত্রব দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার টিকিট হাতে পেয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App