×

জাতীয়

প্রতিটি মানুষের মধ্যে গুমের আতঙ্ক: রিজভী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২১, ০৪:২১ পিএম

প্রতিটি মানুষের মধ্যে গুমের আতঙ্ক: রিজভী

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিদিন প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কখন তার সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই গুমের সংস্কৃতি চালু করেছে এই সরকার।

সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা তার ওপর নিপীড়ন কেন? কারণ একটাই তিন সত্য কথা বলেন, আজ বাংলাদেশের একজন শহীদ আসাদ শাসক দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত অত্যাচারী নিমজ্জিত রয়েছে। একজন বিবেকবান মানুষ যদিও সে সাংবাদিক হয় তাহলে তিনি লিখবেন না? অবশ্যই লিখবেন। আর এই অপরাধে তিনি আজ কারাগারে। আর যারা দুর্নীতি করছে, সন্ত্রাস করছে, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ান এমপি মন্ত্রী হন তারা।

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবস, এই দেশে অনেকেই গুম হচ্ছে হয়েছে। আর এসব গুমের মূল হোতা এই সরকার।গুমের মত একটি বিষয় আজ আমাদের জনগণের মুখেমুখে। কারণ এটিকে জনসংস্কৃতি অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে পরিণত করেছে এই সরকার। প্রতিদিন প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কখন তার সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই গুমের সংস্কৃতি চালু করেছে এই সরকার।

তিনি বলেন, যারা সত্যি কারের রণাঙ্গনের যোদ্ধা বর্তমানে তাদেরকে অপমান করা হচ্ছে। প্রমাণ সাপেক্ষ ব্যাপার জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা। আপনার (শেখ হাসিনা) স্বামীর বইটি কি আপনার কাছে নেই? সে বইতে লিখেছেন আমি আর শেখ হাসিনা মালিবাগ থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছি। তাহলে আপনি কাকে অনুসরণ করেন? আপনার চারপাশের চামচাদের?

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনি বলেছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ঐতিহাসিক সত্যের প্রমাণ লাগে না। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিনা, আপনার পরিবার মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা, সেটা এখন প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ চেয়ে ছিলেন কিনা? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন কিনা, নাকি বৃহত্তর পাকিস্তানের ক্ষমতা পেয়েছিলেন এটা এখন গবেষণার প্রধান টপিক।

সত্য কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে যায় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, রুহুল আমিন গাজী, কবি আল মাহমুদ এরা সব সময় সত্য কথা দেশের পক্ষে বলেছেন। সত্য কথা, দেশের পক্ষে বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যায়। সেইজন্যে এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের এসরকার স্বীকৃতি দেয়নি। যারা টিক্কা খানের চাকরি করেছে। কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান দেয় তারা আওয়ামী লীগের কাছে তাদের নেত্রীর কাছে প্রিয় হয়।

তিনি বলেন, দেশে হয়েছে যে অন্ধকার অত্যাচার নিমজ্জিত হয়েছে তার থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু রাজনৈতিক দল নয় পেশাজীবী সংগঠন সহ সকলকে সংগ্রাম করতে হবে। এই অত্যাচারীর হাত থেকে মুক্তি না পেলে রুহুল আমিন গাজীর মত বরেণ্য ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চলতে থাকে বে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App