বাংলাদেশ যেন সাবলীলভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করতে সক্ষম হয়, সেজন্য বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান নেদারল্যান্ডস সরকারকে ট্রানজিশন পিরিয়ড সম্প্রসারণের অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে একচেঞ্জ প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা বিকাশের জন্য সহযোগিতা দেয়ারও অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্নে গেরার্ড ভেন লিউইন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে গত রবিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বিজিএমইএ’র গুলশানস্থ পিআর অফিসে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো দশমিক শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি মিরান আলী এবং পরিচালক মো. দশমিক মহিউদ্দিন রুবেল উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতে উভয়পক্ষ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নতির জন্য বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি আলোচনায় পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী কারখানাগুলো কীভাবে জল পদাঙ্ক (ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট) কমাচ্ছে, সে বিষয়টিসহ কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং সামাজিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।

পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল প্রোগ্রামের অর্থায়নে সহায়তা করছে নেদারল্যান্ডস সরকার।

বিজিএমইএ সভাপতি নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য এসময়ের সবচেয়ে অগ্রাধিকারমূলক ইস্যুগুলো বিশেষ করে পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, টেকসই উন্নয়ন, নতুন পণ্য উন্নয়ন ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন এবং কারখানার সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার প্রভৃতি বিষয়ে অবহিত করেন।

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।