×

অপরাধ

মতিঝিল আইডিয়ালের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনুসন্ধনে দুদক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৯:৪৯ পিএম

মতিঝিল আইডিয়ালের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনুসন্ধনে দুদক

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ

ভর্তি বাণিজ্য, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিবার (২৯ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

দুদক জানায়, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। নতুন করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। সূত্র জানায়, সম্প্রতি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ ও নির্মাণকাজের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন, বিভিন্ন ব্যাংকে শত কোটি টাকার বেশি লেনদেনের তথ্য পায় দুদক। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরাসহ আরো বেশ কয়েকজনের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যও দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। অনুসন্ধান পর্যায়ে ইতিমধ্যে আতিকের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। অধ্যক্ষও যাতে অনুসন্ধানকালে বিদেশ যেতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করবে দুদক।

এ বিষয়ে দুদকের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুর্নীতির ঘটনায় অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। ঘটনার সঙ্গে অধ্যক্ষেরও জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। আমরা মনে করি এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, গভর্নিং বডির সদস্য ও সরবরাহকারী যাদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদেরই ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দুদকের।

জানা যায়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানসহ একটি সিন্ডিকেট ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ ও নির্মাণকাজের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কমিশন তা অনুসন্ধান করতে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে দায়িত্ব দেয়। অনুসন্ধানে নেমে আতিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের তথ্য-উপাত্ত পান অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তি যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর আদালত তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

আদালতে দাখিলকৃত অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়েছে, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান খানের নামে সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৬টি, প্রাইম ব্যাংকে ২৯টি, ঢাকা ব্যাংকে ১০টি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ১০টি ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকে তিনটিসহ মোট ১৫টি ব্যাংকের ৯৭টি হিসাবে ছয় বছরে ১১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া তার নামে বনশ্রী মসজিদ মার্কেটে ‘বিশ্বাস লাইব্রেরি’ নামে বিশাল বইয়ের দোকান, আফতাবনগর বি-ব্লকে ৩৪ নম্বর প্লটে ‘বিশ্বাস বাজার’ নামে সুপারশপ, ‘ভিশন ৭১’ নামে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আফতাবনগর ও বনশ্রীতে পাঁচটি বাড়ি পাওয়া গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App