×

সারাদেশ

ব্রক্ষপুত্র নদের গর্ভে বিলীন খোলাবাড়ী-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৪:২৯ পিএম

ব্রক্ষপুত্র নদের গর্ভে বিলীন খোলাবাড়ী-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ব্রক্ষপুত্র নদে বিলীন হয়েছে খোলাবাড়ী ও দেওয়ানগঞ্জ প্রধান সড়ক। ছবি: ভোরের কাগজ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ব্রক্ষপুত্র নদে বিলীন হয়েছে খোলাবাড়ী ও দেওয়ানগঞ্জ প্রধান সড়ক। এতে চমর বিপাকে পড়েছে বাহাদুরাবাদ নৌ থানাসহ ১০ হাজার মানুষ। নদী ভাঙনের হুমকির মধ্যে রয়েছে ১০টি গ্রাম। জানাগেছে, সড়কটি গত তিন বছর ধরে ব্রক্ষপুত্র নদে ভাঙনের হুমকির মুখে ছিলো। সময়নুযায়ী নদী ভাঙন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী ৫মিটার পাকাঁ সড়ক নদী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়ক দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছে বাহাদুরাবাদ নৌ থানা পুলিশসহ হাজার হাজার পথচারী মানুষ।

দীর্ঘ দিন থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃশ হয়েছে চিকাজানি খোলা বাড়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মসজিদ মাদ্রাসা, বাজারসহ ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডের পরিবার। চলতি বছর বর্যা শুরুতেই ভারী বর্ষণ ও উজানথেকে নেমে আসা পাহাড়িয়া ঢলে

যমুনা, ব্রক্ষপুত্র, দশাঁনি,জিঞ্জিরাম নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার চুকাই বাড়ী, চিকাজানি, বাহাদুরাবাদ, হাতিভাঙ্গা, চর আম খাওয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। যমুনা বিপদ সীমার ১৩ সেঃমিঃ উপরদিয়ে প্রবাহীত থাকায় উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ওপৌর শহরের নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ইউপি সদস্য আ. মালেক জানান, বাহাদুরাবাদ নৌ থানা, খোলাবাড়ী, মোন্নে বাজার, ফারাজি পাড়া, কাজলা পাড়া, মন্ডল বাজার, গুচ্চ গ্রাম, বাহাদুরাবাদসহ ১০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি গত দু বছর থেকে ব্রক্ষপুত্র নদে ভাঙনের পরে থাকলেও নদী ভাঙন রোধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

মন্ডল বাজার এলাকাবাসী জানান, ২০২০ সালে সড়কটি প্রথম ভাঙন শুরু হয়, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের প্রথমে নদী ভাঙন শুরু হলে স্থানীয়ভাবে কিছু বালির বস্তা এবং বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙণ প্রতিরোধের কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। কিংবা স্থায়ী ভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে যোগাযোগ বিচ্চিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।

এ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই অবিরাম বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এই সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সড়কের এক পাশ দিয়ে যতটুকু মাটি রয়েছে সেখান দিয়ে পায়ে হেটে বহুকষ্টে চলাচল করছে লোকজন। কেউ অসুস্থ হয়ে পরলে হাসপাতালে নেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়রা অভিযোগ করে চরম অবহেলার কারনে সড়কটি রক্ষার কোন ব্যবস্থা কেউ গ্রহন করেনি। সেজন্য এই জনপদের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি এখন বিচ্ছিন্ন ।

চিকাজানি ইউপি চেয়ারম্যান মমতাজউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, অনেক চেষ্টা করেও সড়ক টি ব্রক্ষপুত্র ভাঙণ থেকে রক্ষা করা গেলো না। এলজিইডি আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের টানাটানিতেই সড়কটি বেহাল অবস্থা। আমি সড়কটি সংস্কারের জন্য সব দপ্তরে আমি এই সড়কটির সংস্কাররের জন্য সব দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন জানান, দুই বছর থেকে এই সড়কটি নদী ভাঙনের ঝুকিতে। গত বছর তার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয়দের দিয়ে বাঁশ ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এ বছর হঠাৎ করে বৃষ্টির পানিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রসিদ জানান, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সড়কটি মেরামত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদজানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে আপদ কালীন বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে নদীর তীর সংরক্ষণে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়ে নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App