×

পুরনো খবর

জাহাঙ্গীরনগরে আবারও প্রতিবাদী প্রতীকি ক্লাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৫:১৮ পিএম

জাহাঙ্গীরনগরে আবারও প্রতিবাদী প্রতীকি ক্লাস

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের নিচতলার করিডোরে বিভিন্ন বিভাগের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এই ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

করোনাভাইরাস মহামারীতে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী প্রতীকি ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু রবিবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে এক ঘণ্টা সময় এই ক্লাস নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের নিচতলার করিডোরে বিভিন্ন বিভাগের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হন।

এর আগে ২৬ আগস্ট একই দাবিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতীকি ক্লাস নিয়েছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন।

এ সময় জামাল উদ্দিন রুনু সাংবাদিকদের বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ইতিমধ্যে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে অনুভব করতে পেরেছি, অনলাইনে ভালোভাবে পাঠদান করা সম্ভব না। একইসঙ্গে আবার পরীক্ষা পদ্ধতিতেও একটা বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে ক্লাস- পরীক্ষা স্বশরীরে নেওয়া উচিৎ।"

প্রতীকি ক্লাসে অংশ নেওয়া নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত বর্ণ বলেন, " আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার মাধ্যমে জ্ঞান তাত্ত্বিক এবং গবেষণাগত প্রক্রিয়া আবার চালু হোক। যাতে এই জ্ঞান তাত্ত্বিক এবং গবেষণাগত উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আমাদের মহামারীর কারণে যে বায়োলজিক্যাল, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতিগুলো যেনো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারি।"

প্রতীকি ক্লাসে অংশ নেওয়া আরেক শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের নূর ই-জান্নাত রিতু জানান, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। বারবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ দিয়ে পেছানো হয়েছে। তবে এখন যেহেতু শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে, শিক্ষার্থীরাও কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সেটা জানে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার কোনও যৌক্তিক কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত বছর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে একাধিকবার তারিখ ঘোষণা করলেও পরে তা বাতিল করে সরকার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App