×

সারাদেশ

দায়রা জজ আদালতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ১১ জনকে নিয়োগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২১, ১১:২৬ এএম

দায়রা জজ আদালতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ১১ জনকে নিয়োগ

ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালত

কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১১ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়ম লঙ্ঘন করে কীভাবে এ নিয়োগ দেয়া হলো এই প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের। এ নিয়ে আদালত পাড়ায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অফিস সহায়কসহ অন্যান্য পদে ১৪ জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৪জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা নেয়া হয়। তবে চূড়ান্তভাবে ১৪ জনের স্থলে ৩২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

এতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ১৪ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিভাবে ৩২ জনকে নিয়োগ দেয়া হলো। পরে এ বিষয়ে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ ৭ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২ ও ৩ এপ্রিল কর্মচারী নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সুপারিশের ১৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে ফল প্রকাশিত হয়। ওই তালিকার বাইরে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়নি বলেও জানানো হয়।

ফলে ৩২ জনের মধ্যে ১৮ জনের চাকরি অনিশ্চয়তায় পরে। কিন্তু পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বাদ পড়া ওই ১৮ জন থেকে আদালতের ৯৫ নং স্মারকে ১৯ জুলাই আরো ১১ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৫ জন বেতনও ভোগ করেছেন। বাকী ছয় জনের বেতনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভোলা জেলা আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভোলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১৪ জুলাই ২০১৬ তারিখের (৩৫৯ নং স্মারক) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার একজন, জারিকারক চারজন, নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর সাত জন ও অফিস সহায়ক পদে দুই জনকে নিয়োগ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। উক্ত পদে চলতি বছরের ২ এপ্রিল তিন হাজার পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ৩ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হয়।

চার এপ্রিল চূড়ান্ত উত্তীর্ণদের তালিকা নোটিশে না টানিয়ে জেলা জজ এর কার্যালয়ের অফিস আদেশে ৬০, ৬১, ৬২ ও ৬৩ নং স্মারকে ১৪ (চৌদ্দ) জনকে নিয়োগ দেয়া হয় এবং ওই দিন রাতেই সিভিল সার্জন কর্তৃক মেডিকেল বোর্ড প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া তাদের যোগদান নেয়।

নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর বিচারক নুরুল ইসলাম বলেন, জেলার আদালতে নিয়োগের ক্ষমতা একমাত্র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের। আমি শুধু মাত্র নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হকের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা এর সার্কুলার নং-০৮/২০১৫ তারিখ ০৭/০৬/২০১৫ খ্রিঃ তে বলা আছে, জেলা পর্যায়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এখানে ১৪ জনের মধ্যে ০৭ (সাত) জেলার বাহিরের প্রার্থী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App