×

চিত্র বিচিত্র

অন্য রকম ভালোবাসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৬:২৭ পিএম

অন্য রকম ভালোবাসা

বিশাল আকারের একটি হৃদয়ের দেখা মিলবে ধূসর ফসলের খেতে। ভালো করে দেখলে দেখা যাবে, সেটি নড়াচড়া করছে! এমনকি চোখ উঠবে কপালে।

বিশাল আকারের একটি হৃদয়ের দেখা মিলবে ধূসর ফসলের খেতে। ভালো করে দেখলে দেখা যাবে, সেটি নড়াচড়া করছে! এমনকি চোখ উঠবে কপালে।

একপাল ভেড়া দিয়ে সুন্দর এই প্রতীকটি বানানো হয়েছে। আর এ কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক কৃষক। তার নাম জ্যাকসন। প্রয়াত স্বজনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে তিনি ভেড়া দিয়ে হৃদয়ের এই প্রতীকটি বানিয়েছেন।

কৃষক জ্যাকসনের আবাসস্থল অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি গ্রামে। টানা দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে সম্প্রতি মারা গেছেন জ্যাকসনের ফুফু। তার বাড়ি কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে।

নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে। গত সোমবার ছিল জ্যাকসনের প্রয়াত ওই স্বজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। কিন্তু করোনার বিধিনিষেধের কারণে তিনি প্রিয়জনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেননি। এমন তথ্যই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির মাধ্যমে জানানো হয়।

ব্রিসবেনে যেতে না পারায় প্রয়াত স্বজনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনের বিকল্প উপায় ভাবছিলেন জ্যাকসন। তখনই তাঁর মাথায় চলে আসে ভেড়া দিয়ে হৃদয়ের প্রতীকটি বানানোর চিন্তা।

নিজের খামারের হাজারের বেশি ভেড়া দিয়ে ফসলের খেতে বানিয়ে ফেলেন বিশাল আকারের হৃদয়। পরে ড্রোন ব্যবহার করে তার ভিডিও ধারণ করেন তিনি। অনলাইনে সেই ভিডিও আপলোড করলে তা ছড়িয়ে পড়ে।

বিবিসিকে জ্যাকসন বলেন, ‘বিধিনিষেধের কারণে প্রয়াত স্বজনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্রিসবেনে যেতে না পারায় আমার ভীষণ অসহায় লাগছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না, কী করব। তখনই আমি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিশাল আকারের একটি হৃদয়ের প্রতীক বানানোর কথা ভাবি। এ জন্য বেছে নিই খামারের ভেড়াগুলোকে।’

ড্রোনের মাধ্যমে ধারণ করা ভিডিওটি ব্রিসবেনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়া স্বজনদের পাঠিয়েছেন তিনি। কয়েক শ কিলোমিটার দূরে বসে ভেড়া দিয়ে হৃদয়ের প্রতীক বানিয়ে প্রয়াত স্বজনকে শ্রদ্ধা নিবেদনের ভিডিওটি অনলাইনে অসংখ্য মানুষ দেখেছেন।

প্রশংসায় ভাসিয়েছেন জ্যাকসনকে। দেশটির একটি টিভি চ্যানেলও এ ভিডিও প্রচার করেছে। জ্যাকসন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার ভেড়া দিয়ে শিল্পকর্ম বানিয়ে আলোচনায় এসেছেন।

প্রয়াত সেই স্বজন তার এসব সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড পছন্দ করতেন। জ্যাকসন বলেন, ‘আমার এ কাজ দেখে যেতে পারলে তিনি ভীষণ আনন্দিত হতেন।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App