×

জাতীয়

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই বিএনপিও জানে: প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২১, ০১:২৫ পিএম

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই বিএনপিও জানে: প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি কেন সংঘর্ষ করলো? মারামারির অভ্যাস যায়নি। তারা জানে সেখানে জিয়াউর রহমানের কোনো লাশ ছিল না। খালেদা জিয়া বা তারেক কি জিয়ার গুলি খাওয়া লাশ দেখেছে? বিএনপি জানে সেখানে কোনো লাশ ছিল না।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরশাদের মুখেই শুনেছি ওখানে একটা বাক্স নিয়ে এসেছিল। সেই বাক্সে যে লাশ ছিল তার পরণে কমব্যাট পোশাক ছিল। তখন জিয়া প্রেসিডেন্ট তার তো এই পোশাক পরে থাকার কথা না। তবুও তারা সেখানে যায় কেন?

তিনি আরও বলেন, আমার মৃত্যু ভয় নেই। আমার কোনো আকাঙ্খাও নেই। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আমার পরিবার। বাংলাদেশ আমার পরিবার। এই দেশের নামটাও বঙ্গবন্ধুর ঠিক করা ছিল। পতাকাও। তিনি খাবারের টেবিলে বসে বলেন, জাপান উদিত সূর্যের দেশ। সাদা জমিনে লাল সূর্য। আমাদের সবুজ দেশে হবে সবুজ জমিনে লাল সূর্য। সেই তারই হাতে গড়া বাংলাদেশে তাকে নির্মমভাবে হত্য করেছে সেনা সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের মনে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ছিল না। তিনি তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য। সেসময় জিয়াউর রহমান সোয়াদ জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিল। তখন পাবলিক তাকে ঘেরাও করে ধরে নিয়ে আসে। সেসময় জিয়ার হাতে অনেক সংগ্রমীরা নিহত হন চট্টগ্রামে। ব্যারিকেড দেয়া অনেক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীকে গুলি করে জিয়া। ৭ ই মার্চের ভাষণও প্রথম পাঠ করেন হান্নান সাহেব। পরে একে একে সবাই পাঠ করে। কিন্তু নেতাকর্মীরা মনে করেন কোনো সামরিক অফিসারকে দিয়ে পাঠ করালে যুদ্ধ মনে হবে। তখন মেজর রফিক যুদ্ধে ছিলেন। সেখান থেকে আসা সম্ভব ছিলে না। তাই জিয়াউর রহমনকে দিয়ে পাঠ করান। তবে প্রথমে পাঠ করতে তার অনেক আপত্তি ছিল। তারপরই তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ।

জিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের নেতাকর্মীর কাছ থেকে শুনা যায় তাকে সবাই রিট্রেট অফিসার বলতেন। যুদ্ধ হলে তিনি তিন মাইল দূরে অবস্থান করতেন। জিয়ার কিন্তু কোথাও যুদ্ধ করার কোনো ইতিহাস নেই। আহত হওয়ারও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল, উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন, উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। গণভবন প্রান্তে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App