×

পুরনো খবর

স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের বিরুদ্ধে আরও ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৫:০৯ পিএম

অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের বিরুদ্ধে আরও পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আদালতে র‌্যাব-১ এর এসআই সাজেদুল ইসলাম, কনস্টেবল আনিসুর রহমান, ড্রাইভার শফিকুল ইসলাম, জনৈক মোতালেব হোসেন ও শহিদুল ইসলাম ড্রাইভার মালেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রেখে আগামী ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

বুধবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে অস্ত্র মামলায় আসামি মালেককে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার আরও দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছিলেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, এক লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি জাল টাকা, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, ড্রাইভার মালেকের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সে তার এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনেসহ পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র মামলায় গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ ‌এর উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ১৩ জনকে সাক্ষী করে আসামি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর গত ৪ এপ্রিল মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়।

এছাড়া দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় ও বিদেশে পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাওয়া যায়। মালেকের স্ত্রীর নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা বিলাসবহুল ভবনসহ ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় ৪.৫ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন এবং দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত আছে বলেও জানা যায়। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরে ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে নিজেই সেই সংগঠনের সভাপতি হওয়ায় নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App