×

সারাদেশ

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রাজশাহী বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার জামিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২১, ১০:৪৭ পিএম

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রাজশাহী বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার জামিন

বিএনপির তিনশীর্ষ নেতা- মিজানুর রহমান মিনু, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও শফিকুল হক মিলন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেয়েছেন রাজশাহী বিএনপির তিনজন শীর্ষ নেতা। বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন তারা। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।জামিন পাওয়া তিন নেতার ফাইলিং আইনজীবী ছিলেন মাহমুদুল হাসান স্বপন। তাঁর সঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী।

জামিনপ্রাপ্ত বিএনপির নেতারা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। এ মামলায় বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও আসামি। তবে তিনি জামিন নিতে হাইকোর্টে যাননি।

বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান, বুধবারের কার্যতালিকায় তাঁদের মামলাটি ছিল ৭২ নম্বরে। ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে দুপুরে হাইকোর্ট আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। এরপর তাঁরা নিন্ম আদালতে হাজির হবেন। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও কয়েকদিনের মধ্যে হাইকোর্টে জামিন চাইবেন বলে জানান তিনি।

এর আগে বিএনপির এই চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। গত ২ মার্চ রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে দেয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মামলাটি দায়ের করা হয়। সমাবেশে বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও সরকার উৎখাতের ঘোষণা দিয়েছেন বলে মামলার আর্জিতে অভিযোগ করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।

বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুর ‘আজ রাত কাল সকাল না-ও হতে পারে। পঁচাত্তর মনে নাই?’ বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। মহানগর আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইতে তাঁকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। তা না হলে মামলা করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ৭২ ঘণ্টা পর মিনুর পক্ষে মহানগর বিএনপির এক নেতা বিবৃতি দিয়ে ওই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান। তবে মহানগর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জন্য আবেদন করে। জেলা প্রশাসক আবেদনটি অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলার অনুমতি দেওয়ার পর মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম ১৬ মার্চ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এ (আমলি আদালত বোয়ালিয়া) রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করেন। এরপর আদালত এই চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে প্রায় পাঁচ মাসেও পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি নেতারা জামিনও নেননি। অবশেষে তিনজন বুধবার হাইকোর্টে গিয়ে জামিন নিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App