×

জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কোটি শিক্ষার্থী: ইউনিসেফ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৩:২৬ এএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কোটি শিক্ষার্থী: ইউনিসেফ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কোটি শিক্ষার্থী: ইউনিসেফ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কোটি শিক্ষার্থী: ইউনিসেফ

করোনা মহামারির পুরো সময়জুড়ে বন্ধ আছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী। যত বেশি সময় শিশুরা বিদ্যালয়ের বাইরে থাকবে, ততই সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহের ঝুঁকির মুখে পড়বে তারা। এতে তাদের স্কুলে ফিরে আসার সম্ভাবনাও কমে যাবে। তাই ইউনিসেফ যত শিগগির সম্ভব সশরীর উপস্থিত হয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কুলগুলো পুনরায় খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তার জন্য বিস্তৃত পরিসরে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে আসে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে, যা করোনার কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোজুমি বলেন, স্কুল এবং সশরীর উপস্থিত হয়ে শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিশুদের কেবল পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ওপরও এর প্রভাব পড়ে। প্রান্তিক শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধু থাকায় তারা অধিকতর দারিদ্র্য ও অসমতার দিকে যেতে বাধ্য হচ্ছে। নিরাপদে স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়া এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনিয়োগ করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে ইউনিসেফের প্রকাশিত নতুন বিশ্লেষণী এই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১৪ কোটি শিশুর ক্ষেত্রে স্কুলের প্রথম দিন করোনার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০ লাখ এমন স্থানে বসবাস করে, যেখানে মহামারির পুরো সময় স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। সশরীর শিক্ষা গ্রহণের প্রথম দিনটির জন্য তারা এক বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছে। এ অপেক্ষা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থীও রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী স্কুলগুলো গড়ে ৭৯ দিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। যদিও বিশ্বব্যাপী দেশগুলো দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ২৯ শতাংশের কাছে এ শিক্ষা পৌঁছানো যাচ্ছে না। এ পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সম্পদ বা উপকরণের ঘাটতি রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ও ইউনেসকোর সঙ্গে মিলে ইউনিসেফ স্কুলগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য তিনটি অগ্রাধিকারের প্রতি মনোযোগ দিতে বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এগুলো হলো সব শিশু ও তরুণকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসূচি প্রণয়ন; যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মনঃসামাজিক সুস্থতা ও অন্যান্য চাহিদা পূরণের জন্য প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত সেবা গ্রহণের সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করার কার্যকর ব্যবস্থা এবং শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষকদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App