×

সারাদেশ

আখাউড়ার নিপু এখন পর্তুগাল জাতীয় দলের ক্রিকেট খেলোয়ার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৩:৫৩ পিএম

আখাউড়ার নিপু এখন পর্তুগাল জাতীয় দলের ক্রিকেট খেলোয়ার

সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের দূর্গাপুর এলাকার সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপু এখন পর্তুগালের জাতীয় দলের হয়ে দাপিয়ে ক্রিকেট খেলছেন।

গত ১৯ আগস্ট পর্তুগালের হয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়ান্টি সিরিজে মাল্টার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় নিপুর। সেই ম্যাচে পর্তুগাল ৬ উইকেটে জিতে। নিপু চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে সবার নজর কাড়েন।

নিপু বাহাঁতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম পেসার হিসাবে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার ছিলেন। ২০০৬ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব- ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সাথে। পরবর্তীতে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়ে ছিলেন। জাতীয় দলের পাইপ লাইনেও ছিল নিপু। কিন্তু একটা ইনজুরিতে থেমে যায় তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার।

দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর আবর আলোচনায় আসেন আখাউড়ার খাদেম পরিবারের এই কৃতি সন্তান। ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে না জড়াতে পারলেও এখন তিনি পর্তুগালের জাতীয় দলের হয়ে দাপিয়ে ক্রিকেট খেলছেন।

নিপুর পিতা পৌরশহরের দূর্গাপুর খাদেম বাড়ির মরহুম সানাউল্লা খাদেম ওরফে শানু খাদেম ছিলেন সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) এরিয়া ম্যানেজার। বাবার কর্ম সূত্রে হবিগঞ্জেই তার বেড়ে উঠা।

চাচাতো ভাই সাফিউর রহমান খাদেম জানায়, নিপুরা তিন ভাই। বড় ভাই কুমিল্লায় ব্যবসা করেন এবং তার মেজ ভাই সপরিবারে থাকেন জার্মানে।

নিপু বাংলাদেশের বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলের পক্ষে অনেক দেশ সফর করেন। অস্ট্রেলিয়ান প্রাদেশিক প্রতিযোগিতা ডারউইন প্রিমিয়ার লিগে ডামরিন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে নিপু তার জাত চিনিয়েছিলেন।

একটি ম্যাচে পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে ৮৮ রান করেন এবং ৬ উইকেট নেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মোহামেডানের মত দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন নিপু। সিলেট বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও অভিষেক হয় অল্প বয়সে।

বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রতিটি বয়সভিত্তিক দলের অটোমেটিক চয়েস ছিলেন নিপু। ২০০৯ সালে ঢাকা লিগের জন্য হবিগঞ্জে নিজেকে প্রস্তুত করার সময় চোখে বলের আঘাতে সবকিছু শেষ হয়ে যায় তার। এরপর অনেক চেষ্টা আর চিকিৎসায়ও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পাড়ি জমান পর্তুগালে। সেখানে কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি ক্রিকেট খেলতেন। এভাবেই এখন তিনি পর্তুগাল জাতীয় দলের ক্রিকেট খেলোয়াড়। দেশের হয়ে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ না হলেও পর্তুগালে একই পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে পারায় সে আনন্দ ও তৃপ্তি খোঁজে পেয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App