×

মুক্তচিন্তা

কারোই বাড়াবাড়ি ও উত্তেজনা নয়, নিয়ম ও মেধার চর্চা অপরিহার্য

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২১, ১২:১৪ এএম

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকার সময় ১৬-১৭ বছর আগে আমার দুবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল বরিশালে। ইতিহাসখ্যাত এই অঞ্চলের কথা বইয়ে পড়েছি, লোকমুখে শুনেছি, প্রসিদ্ধ কবি-সাহিত্যিক, দেশনেতাদের শ্রদ্ধা করে এসেছি। যে দুবার বরিশালে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল কুসুমকুমারী দাশ-জীবনানন্দ দাশ, অশ্বিনী কুমার দত্তসহ কয়েকজনের স্মৃতিচিহ্ন দেখে আসার চেষ্টা করেছি। ছাত্রজীবন থেকে শিখে আসা কুসুমকুমারী দাশের বিখ্যাত কবিতা ‘আদর্শ ছেলে’-এর ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?...’ এবং তার ছেলে ‘রূপসী বাংলার কবি’ জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা ‘আবার আসিব ফিরে’-এর ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে’ এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয়, হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে’ বারবার উচ্চারণ করার চেষ্টা করেছি। ইতিহাসে একসময় খাল, বিল, নদীখ্যাত এই অঞ্চল চন্দ্রদ্বীপ নামে খ্যাত ছিল। মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি বিজয় গুপ্ত অবশ্য জন্মগ্রহণ করেছিলেন বর্তমান ঝালকাঠিতে। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমে ঘাঘর নদী পূর্বে ঘণ্টেশ্বর। মধ্যে ফুল্লশ্রী গ্রাম পণ্ডিত-নগর ॥ স্থানগুণে যে জন্মে সেই গুণময়। হেন ফুল্লশ্রী গ্রামে বসতি বিজয় ॥’ বরিশালকে উপমহাদেশে খ্যাতি এনে দিয়েছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক। ১৯০৫-এর পর স্বদেশী আন্দোলনও এই অঞ্চলে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল। অসংখ্য কবি, সাহিত্যিক, সমাজসেবক, দার্শনিক আরজ আলী মাতব্বর, সরদার ফজলুল করিমসহ অসংখ্য জ্ঞানীগুণীর নাম জড়িয়ে আছে এই অঞ্চলকে ঘিরে। সেই বরিশালেই গত ১৮ তারিখ রাতের বেলায় হঠাৎ করে ঘটে গেল কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা, যা এখনো গণমাধ্যমে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তুচ্ছ একটি ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেল। এর সঙ্গে গড্ডালিকায় যুক্ত হয়ে গেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস এসোসিয়েশন বনাম বরিশাল আওয়ামী লীগ। ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসন সিটি করপোরেশনের মেয়রকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এতে কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইউএনও এবং কোতোয়ালি পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি নালিশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শোকের এই আগস্ট মাসে এতটা বাড়াবাড়ি, অসহিষ্ণুতা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে, প্রতিদিন নানাজনের নানা কথা শুনতে হবে সেটি কোনো সচেতন মানুষই ভাবতে পারেনি। কিন্তু বিষয়টি সুদূর বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকায় এর নানাদিক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এখনো কেউ এর রাশ টেনে ধরছে নাÑ সেটিই বেশ বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। সেখানে সেদিন কি ঘটেছিল দূর থেকে তার খুটিনাটি আমাদের জানার কথা নয়। তবে গণমাধ্যমগুলো যে যার মতো করে সংবাদ পরিবেশন করছে। তাতে দর্শক, পাঠক ও শ্রোতারা বিষয়টিতে নানা ধরনের ধারণা পাচ্ছে। এটি মোটেও ভালো খবর নয়। করোনার এই অতিমারিতে যখন সবাই যার যার জীবন-জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত, আগস্ট মাসে টানা শোক এবং দুর্ঘটনার এতগুলো দিন আমাদের একের পর এক স্মৃতিকাতর থাকতে হচ্ছে সেই সময় এমন অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটার কথা শুনতে হবেÑ সেটি ভাবা বেশ কষ্টকর। আমাদের সমাজে নিয়মনীতি মেনে চলার অভ্যাস খুব একটা গড়ে ওঠেনি। এমনকি শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যেও সেই চর্চা খুব একটা হচ্ছে না। যুক্তি, বিবেক, বিচার, বিশ্লেষণ, নিয়মনীতি, শৃঙ্খলা নিজের চলা, বলা ইত্যাদির মধ্যেও আত্মনিয়ন্ত্রণ, পরিশীলিত ভাব, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, মর্যাদা দান ইত্যাদি নেই বলেই তো কুসুমকুমারী দাশ (১৮৭৫-১৯৪৮) শত বছর আগেই আদর্শ ছেলের কামনা করেছিলেন। আমরা কি হতে পেরেছি সেই আদর্শ ছেলে বা মানুষ, যারা কথায় নয় কাজে, অসহিষ্ণুতায় নয় মেধায় নিজেদের বড় আসনে উন্নীত করতে পেরেছি? যারা রাজনীতিতে আসছেন তাদের বেশিরভাগই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কিংবা মোটামুটি শিক্ষিত বলে পরিচিতজন। কিন্তু দল-মত নির্বিশেষে সর্বত্র যে বিষয়টি লক্ষ করা যায় তা হচ্ছে দলীয় রাজনীতির কোথাও শৃঙ্খলা, নিয়মনীতি, কথা বলার ভঙ্গি, জ্ঞানের চর্চা, দেশ, জাতি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার যে ধারাবাহিক চর্চা সেটি বেশিরভাগ নেতাকর্মীর মধ্যেই অনুপস্থিত। ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রত্বের আচরণ কেন যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারা বড় বেশি নেতা নেতা পরিচয়ে সর্বত্র পরিচয় দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত লেখাপড়ার সম্পর্ক যেন যোজন যোজন দূরত্বের বিষয়। তাদের ধারণা দলের সেøাগান দেয়া, মিছিলে যাওয়া, হাততালি দেয়া এবং নেতার কোনো ইশারা বাস্তবায়ন করাই যেন রাজনীতির কাজ। এই কাজ সম্পাদন করলেই কথিত ছাত্র নেতা একসময় সংগঠনে পদপদবি এবং বড় জায়গা পেয়ে যাবে। সেটি পেয়ে গেলেই কেল্লাফতে! সে ‘রাজনীতিবিদ’ হিসেবে আশপাশে পরিচয় পেয়ে যাবে এবং সেই পরিচয়েই তার কিছু একটা হয়ে ওঠা যেন স্বাভাবিক নিয়মের মাধ্যমেই অর্জিত হবে! বিশেষত বড় বড় দল এবং অঙ্গসংগঠনগুলো গত কয়েক দশক ধরে এভাবেই চলছে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে দল এবং দলের নেতাকর্মীদের ব্যস্ততা থাকে যার যার ওপরের নেতাদের ড্রয়িং রুমে প্রতিদিন দর্শন দেয়া, আড্ডা দেয়া, কোনো নির্দেশ থাকলে তা বাস্তবায়ন করা। আবার বড় দলটি যদি বিরোধী দলের হয়ে থাকে তাহলে সেই দলের নেতাকর্মীদের কম হলেও অনুরূপ কিছু ব্যস্ততা ও কর্মকাণ্ড থাকে। বিরোধী দলে থাকলে অবশ্য এত অঙ্গসংগঠন, ভুঁইফোড় সংগঠন নিয়ে টানাটানি হয় না। সরকারি দলে গেলে এদের অবস্থাও প্রায় একই রকম হয়ে যায়। জনগণের সঙ্গে দলের সম্পর্ক কোথাও খুব একটা দেখা যায় না। এমনকি যেসব আদর্শবাদী রাজনৈতিক দল রয়েছে তারাও শহরে নিজস্ব গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে আছে। অবশ্য কিছু কিছু রাজনৈতিক দল গোপনে তাদের কর্মীদের স্বীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সংগোপনে কাজ করতে শোনা যায়। যেটির সবচেয়ে বড় অভাব রাজনীতির দল এবং দলের কর্মকাণ্ডে তা হচ্ছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অতীত ইতিহাসকে নেতাকর্মীদের মধ্যে সঠিক ধারণা দেয়ার জন্য উপস্থাপন করা। সেটি নেই বললেই চলে। আবার প্রতিটি দল নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে তেমন কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণা লাভের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেও না। দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশ, সমাজ ও মানুষের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চর্চার তেমন কোনো তাগিদ অনুভব করে না। দল যেন হয় সব জ্ঞানের আধার, ভাণ্ডার বা ঊর্ধ্বে উঠে গেছে, ইতিহাস নির্ধারণের নিয়ামক শক্তিও বটে! সে কারণে যত বড় বা যত ছোট দলই হোক কেউই মুক্ত চিন্তা, মুক্ত জ্ঞান চর্চা ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। সবকিছুই যেন রাজনীতি তথা দলই নির্ধারণ করে দেয়। তাহলে তো দলে দলে অতীত ভিন্নতায় বিভক্ত এবং বিভ্রান্তিতে হারিয়ে যাওয়ার কথা। একইভাবে বর্তমান চলমান বাস্তবতাও বিকৃতি ও বিভ্রান্তির চোরাবালিতে আটকে পড়ে যাচ্ছে। এর কোনো ভবিষ্যৎ থাকার বা দেখার কথা নয়। কিন্তু বর্তমান যুগে রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনীতির কোনো বিকল্প প্রতিষ্ঠান ভাবা যায় না। কিন্তু সেই রাজনীতি যদি হয় এতটাই শিক্ষা বিযুক্ত, জ্ঞান চর্চাবিহীন, বৈজ্ঞানিক মতাদর্শ ধারণবিহীন, নেতাকর্মীরা যদি হয় কেবলই সেøাগান আর পঙ্গপালের গড্ডালিকা তাহলে এই রাজনীতি কখনোই দেশপ্রেম, মেধা, মনন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় অগ্রসরমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সংগঠন গড়ে তোলার জন্য মোটেও উপযুক্ত হতে পারে না। বাংলাদেশে প্রায় ৪ দশক ধরে তেমনি একটি দোলাচলে দুলছে, গড্ডালিকায় প্রবাহিত হচ্ছে, গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থেকে একটি বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে। সেটির নজির শুধু বরিশালেই নয় সারাদেশেই কমবেশি বিরাজ করছে। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু আলামত আমরা প্রত্যক্ষ করছি মাত্র। কিন্তু রাজনীতির এই করুণ অবস্থা নির্মোহভাবে তুলে ধরা, বিশ্লেষণ করা এবং আদর্শের পথে বা মহাসড়কে তুলে আনার কাজটি কেউই করতে চাচ্ছে না। এর ফলটি কারো জন্যই সুখকর হচ্ছে না, হবেও না। ক্ষমতার বাইরের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই হয় বিলুপ্তির পথে, নতুবা খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। কেবল নির্বাচন এলেই কিছু নামসর্বস্ব নেতার নড়াচড়া দেখা যায়, গঠন করা হয় ৫০-৬০ দলের একেকটি জোট। যেখানে নেতাকর্মী বলে কিছুই নেই। রাজনীতির এই বেহাল দশার জন্য দায়ী কে বা কারা। সেটি এখনো আমরা গুরুত্ব দিয়ে উপলব্ধি করতে চাই না বলে রাজনীতির ওপর ভর করছে অন্য সব অরাজনৈতিক গোষ্ঠী ও শক্তি। বরিশালের সংঘটিত ঘটনার যে বিবৃতিটি অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ সার্ভিসেস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে সেটি সবাইকে হতবাক করেছে। কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের লিখিত এমন একটি বিবৃতি সাধারণভাবে মানহীন রাজনৈতিক দলের ভাষাকেও হার মানিয়েছে বলে সবাই একযোগে বলছেন। তাহলে উচ্চশিক্ষিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও বিবৃতির মান রইল কোথায়। তারা তো প্রতিনিয়ত আইন বিধিবিধান বোধ, নিয়ম বোধের সঙ্গতি রেখেই সরকারের নথি উপস্থাপন করেন। কিন্তু এখানে তারা নিজেদের কোনো অর্থেই সংযত রাখতে পারলেন না। অথচ তাদের আমরা উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী কর্মকর্তা বলেই অভিহিত করে থাকি। প্রশাসনে অবশ্যই অতীতে বা বর্তমানে অনেকেই উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী রয়েছেন। কিন্তু তাদের সমিতি যখন একটি বিতর্কিত ও নিয়মবহির্ভূত বিবৃতি জাতির সম্মুখে হাজির করে তখন আমাদের লজ্জিত হতে হয়। জানি না নিজেদের বিসিএস ক্যাডার ভাবার যে অহংকার অনেকেই পোষণ করে আসছেন সেটি তাদের এমন অবস্থায় এনেছে কিনা? কিন্তু আধুনিক জগতে শুধু অহংকার ও ভাব দিয়ে জটিল প্রশাসন ব্যবস্থার অগ্রযাত্রা কাক্সিক্ষত মানে পৌঁছায় না। সেখানে দেশ, জাতি, রাষ্ট্র-রাজনীতি, সরকার-প্রশাসন ও বিশ্ব বাস্তবতার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানসম্ভার ক্রমগত অর্জন করতে হয়। এখানে দেশের উচ্চশিক্ষা, বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষা, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ, ভ্রমণ ইত্যাদিই যথেষ্ট নয়। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে জ্ঞান ও মানে সমৃদ্ধ করার নিরন্তর গবেষণাও থাকতে হয়। মনে হচ্ছে সেখানেই আমাদের অন্য আট-দশটি প্রতিষ্ঠানের মতো প্রশাসন ব্যবস্থাতেও ঘাটতি বেড়েই চলছে। এর জন্য চাই নিয়মিত পেশাদারিত্বের প্রশিক্ষণ, গবেষণা, নিয়মনীতির চর্চা। সেটি কেউ কেউ অবশ্যই করেন। সে রকম ব্যক্তিদের সুখ্যাতিও রয়েছে। দেশ, জাতি এবং বৈশ্বিক বাস্তবতায় নিজেকে উন্নত আধুনিক জ্ঞান, ধ্যান এবং চর্চায় প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য নিরন্তর নিয়ম শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নিজেকে সমর্পণ করা একান্তই জরুরি। এই রাষ্ট্র ও সমাজ আমাদের শুধু কর্মকর্তার আসনেই নয়, মানবিক মূল্যবোধ ও মর্যাদার আসনেও বসার সুযোগ করে দিয়েছে। সেটি ভুললে চলবে না।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App